ক্যানসারে আক্রান্ত যে সমস্ত রোগীদের কেমোথেরাপি চিকিৎসায় মাথার চুল উঠে যায়, তাদের পরচুলার জন্য চুলের প্রয়োজন হয়। মনীষিতা সেই সমস্ত রোগীদের জন্য নিজের মাথার শখের লম্বা চুলের বারো ইঞ্চি কেটে বিনুনি করা অবস্থায় পাঠালেন মদত ট্রাস্টে। ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী মনীষিতা ইতিমধ্যে এম এ, বি এড ডিগ্রী কমপ্লিট করে ফেলেছেন। বর্তমানে মনীষিতা বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান মনীষিতা বাবা মায়ের সাথে মেদিনীপুর শহরের ক্ষুদিরাম মোড় সংলগ্ন এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন।
advertisement
বাবা "শিক্ষারত্ন" পুরস্কার প্রাপ্ত গৌতম বোস পূর্ব মেদিনীপুরের শ্যামসুন্দরপুর পাটনা হাইস্কুলের শিক্ষক, মা আল্পনা দেবনাথ বোস পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী হাইস্কুলের শিক্ষিকা। মনীষিতা জানালেন, ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের পাশে দাঁড়াতে পেরে তিনি খুশি ও গর্বিত। আগামী দিনেও তিনি এভাবে সমাজে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান। পাশাপাশি তিনি অন্যদেরও একাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। মেয়ের এহেন কাজে খুশি মনীষিতার বাবা গৌতম বোস, মা আল্পনা দেবনাথ বোস সহ আত্মীয়-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব ও শুভানুধ্যায়ীরা।
Partha Mukherjee