স্বাস্থ্য আধিকারিক কিংবা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা 'পদক্ষেপ' নিতে চাইলে বা এই বিষয়ে প্রতিবাদ করলে, বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীর নাম নিয়ে তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে! কিন্তু, সেই সমস্ত নেতা-নেত্রীদের ফোন করলে, তাঁরা বলছেন "বাজে কথা, আমরা কাউকে পাঠাচ্ছিনা!" এ রকমই পরিস্থিতি, জেলার প্রায় প্রতিটি ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে। কোথাও আবার, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা কিংবা প্রসূতিদের অভিযোগ, "মাথায় ছাউনি নেই। ছাউনির ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।" আবেদন রাখছেন, "বাড়ানো হোক ভ্যাকসিনেশন সেন্টার এবং স্বচ্ছতার সাথে ভ্যাকসিন দেওয়া হোক সকলকে।" এক্ষেত্রে, দ্বিতীয় ডোজ প্রাপকদের প্রাধান্য বা অগ্রাধিকার দেওয়ার আবেদনও জানানো হচ্ছে। জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক-রা যদিও জানাচ্ছেন, দ্বিতীয় ডোজ যাদের আছে, তাদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে এবং স্বচ্ছতার সাথে বিষয়টি পরিচালনা করা হচ্ছে!
advertisement
রোদ-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই, করোনা টিকা (corona vaccine)নেওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াতে হচ্ছে লাইনে। মাথার ওপর কোনও ছাউনি না থাকায়, অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কেশিয়াড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে করোনা প্রতিষেধক টিকা নিতে আসা মানুষজনের। কখনও রোদ আবার কখনও বৃষ্টিকে মাথায় নিয়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াতে হচ্ছে প্রসূতি ও প্রবীনদেরও। ক্যাম্পে আসা মানুষের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিংবা প্রশাসন মাথার ওপর আপাতত অস্থায়ী ছাউনি করে দিক। প্রতিদিন হাসপাতালের সামনে প্রায় তিনশতাধিক মানুষের জমায়েত হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে এদিন সমাজমাধ্যমেও সরব হয়েছেন কেশিয়াড়ির বাসিন্দা মলয় কুমার দাস। তিনি বলেন, "প্রতিদিন অনেক মানুষের যেমন ভিড় হচ্ছে তেমনি প্রতিষেধক নিতে এসে তাদের অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। ভাদ্র মাসের এই রোদ-বৃষ্টি নিয়ে লাইনে দাঁড়াতে গিয়ে মা এবং প্রবীন মানুষেরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।" তাঁর আবেদন, প্রশাসন ছাউনি এবং বসার জায়গা করে দিক। নইলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে রোদে দাঁড়িয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আবার নেই পানীয় জলের তেমন ব্যবস্থা। যা নিয়ে প্রশাসনের উদাসীনতার দিকেই আঙুল তুলেছেন সাধারণ মানুষ। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক তারিনীকুমার শীট বলেন, "আমাদের পক্ষ থেকে ছাউনি করা সম্ভব নয়। দু-এক দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মতো নতুন পদ্ধতিতে প্রতিষেধক প্রদান চালু হলে, হাসপাতালে আর ভিড় হবে না।"
Partha Mukherjee