কথিত আছে, এলাকারই এক বাসিন্দা সত্যেশ্বর সাউয়ের হাত ধরে এক নিঃসন্তান দম্পতির কোন এক সময় সন্তান লাভের আশায় মন্দির প্রতিষ্ঠা করে। এরপর লোকমুখে প্রচারিত হয়েছে এই মন্দিরের লোক কথা। পুজো দিলে জামাইরা ভালো থাকেন। পরবর্তীকালে এলাকার শাশুড়িরা চাঁদা তুলে এই মন্দিরে বছরের একটি দিন আজকের দিনটিতে মেয়ে জামাইয়ের সংসারের মঙ্গল কামনায় পুজো দিতে আসেন।
advertisement
শুধু তাই নয় তিন-চার দিন ধরে চলে জাঁকজমক ভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। বিশেষ করে বাউল সহ নানা রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও করা হয় অন্নকূট এর আয়োজন। শাশুড়ির সঙ্গে মাঝে মধ্যে জামাই মেয়ে নাতি-নাতনিরাও থাকে এই পুজোতে। মানত পূরণ হলেই এই পুজোতে হাজির হন জামাইরা। আর পুরো পুজোর দায়িত্বই পালন করে শাশুড়িরা।
কিন্তু করোনার পরিস্থিতিতে গত বছর এবং এবছরও পুজো হলেও বাকি সমস্ত কিছুই রয়েছে বন্ধ। যতটুকু সুযোগ হয়েছে ততটুকু নামমাত্র পুজো হয়েছে। এছাড়া পুজোর তিন চারদিন ধরে চলা অনুষ্ঠান সম্পূর্ন বন্ধ রাখা হয়েছে।বন্ধ রাখা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অন্নকূট এর আয়োজন। ফলে কিছুটা হলে মনে কষ্ট এলাকার শাশুড়িদের। কারণ এবারের জামাইষষ্ঠীতে জামাই এর খাতিরে করা পুজো করতে হলো নমঃ নমঃ করেই।
Partha Mukherjee