প্রাচীন ভারতে শরীরকে সুস্থ রাখার অন্যতম মাধ্যম ছিল যোগব্যায়াম। মানসিক এবং শারীরিক দিক থেকে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য যোগব্যায়াম ছিল প্রতিদিনের অবশ্য-কর্তব্য একটি কাজ। আধুনিক হতে হতে এখন যোগব্যায়ামের অভ্যাস অনেকটাই মলীন। তবে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য যোগাভ্যাস যে অব্যর্থ ওষুধ, তা এক কথায় মেনে নিচ্ছেন সমস্ত চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে করোনাকালে যখন দীর্ঘ লকডাউন এর সময় মানুষকে গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হচ্ছে, সেসময় যোগাভ্যাস এর তুলনা কোন কিছুর সঙ্গেই করতে চাইছেন না চিকিৎসকরা। কোভিডলকালে শরীর সুস্থ রাখতে হলে প্রতিদিনের রুটিনে যোগব্যায়াম করার জন্য কিছুটা সময় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
advertisement
এ বিষয়ে বিশ্বশ্রী মনোতোষ রায়ের ছাত্রী, যোগ শিক্ষিকা রুমা মুখার্জি বলেছেন, কোভিডকালে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ফুসফুসের ব্যায়াম। তার জন্য প্রাণায়াম সবচেয়ে উপকারী আসন। তাছাড়াও প্রতিদিন সূর্য প্রণাম করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। রুমাদেবী বলেছেন, যদি নিয়মিত সূর্য প্রণামের ৮ টি ধাপ নিয়মিত সম্পন্ন করা যায় তাহলে শরীরকে অনেক রোগ-ব্যধি থেকে দূরে রাখা যাবে। তাছাড়া এই সময় শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রাখতে এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে, প্রাণায়াম অবশ্য-কর্তব্য একটি আসন। এছাড়াও বিভিন্ন আসন করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, প্রতিদিন অন্তত পক্ষে এক ঘণ্টা করে যোগাভ্যাস ভীষণভাবে জরুরি। তাহলে এই অতিমারির মতো কঠিন সময়েও নিজের শরীরকে সুস্থ রাখা যাবে। মানসিক সুস্থতা বজায় থাকবে। মনকে শান্ত করতে যোগাভ্যাস দারুন একটি পন্থা বলেও অভিমত প্রকাশ করেছেন তিনি।
সবমিলিয়ে এই অতিমারির সময় নতুন করে ভারতবর্ষের প্রাচীন স্বাস্থ্যবিধিগুলির উপকারিতা এবং প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছে। সেক্ষেত্রে যেমন আয়ুর্বেদিক ওষুধ যেমন গুরুত্ব পাচ্ছে, ঠিক তেমনভাবেই নিজেকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত যোগাভ্যাস ভীষণভাবেই যে জরুরি, তা খুব সহজেই উপলব্ধি করা যাচ্ছে।
Nayan Ghosh