নির্বাচন দফতর (Election Commission) সূত্রে জানা গিয়েছে, বুথে গিয়ে ভোট দিতে না পারার মতো ভোটারের বেশ বড় সংখ্যা রয়েছে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে (Asansol PC)। রানীগঞ্জ, আসানসোল, অন্ডাল সহ বিভিন্ন এলাকায় এই সমস্ত ভোটারদের বসবাস। যারা শারীরিক ভাবে ভোট দিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে অক্ষম অথবা বয়সের ভারে ঘরবন্দি, এমন সমস্ত মানুষদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। বাড়িতে বসে তাদের ভোট দানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে (Vote At Doorstep)।
advertisement
কমিশন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, এদিন থেকে শুরু হয়েছে ৮০ বছরের উর্ধ্ব ও শারীরিকভাবে অক্ষম ভোটারদের ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া। নিজের বাড়িতে বসেই এদিন তারা ভোট দিলেন (West Bardhaman News)। আগামী পাঁচ তারিখ পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে বলে খবর। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রানীগঞ্জ এলাকায় ৮০ বছরের ঊর্ধ্ব ও শারীরিকভাবে অক্ষম ভোটারের সংখ্যা ৯০৮ জন। এরমধ্যে ২৫৯ জন রানীগঞ্জ ব্লকের ও ৬৪৯ জন রয়েছে অন্ডাল ব্লকের বাসিন্দা। এদিন সকাল দশ-টা থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই প্রক্রিয়ায় ভোট কর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্ট ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা উপস্থিত ছিলেন (Central Forces)। ভোটারদের ঘরের মধ্যেই প্লাইউড দিয়ে অস্থায়ী বুথ তৈরি করা হয়। গোপনীয়তার জন্য টাঙ্গানো হয় চটের পর্দা।
বাড়িতে বসে ভোট দিতে পেরে খুশি ৮০ বছরের উর্ধ্বে ভোটাররা। তারা বলছেন, বয়স হয়ে গিয়েছে। তাই লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়ার ক্ষমতা নেই। অনেকের তো বুথ পর্যন্ত যাওয়ারও ক্ষমতা নেই। তাই বাড়িতে বসে ভোট দানের ব্যবস্থা না থাকলে, হয়তো এরকম অনেকেই ভোট দিতে পারতেন না। তবে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে, নির্বাচন কমিশন যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয় (Vote At Doorstep)। বাড়িতে বসে ভোট দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে বলে তাঁরা জানাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ১২-এপ্রিল আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন (Asansol Byelection)। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তৎপর কমিশন। ইতিমধ্যে পৌঁছতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে বাহিনীর রুটমার্চ (Central Force Root March)। শাসক, বিরোধী সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির তৎপরতা উঠেছে তুঙ্গে। জোর কদমে চলছে প্রচার। প্রচারের কাজে এলাকায় আনাগোনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হেভিওয়েট নেতা, নেত্রীদের (Election Candidate)। তার মধ্যে নির্বাচনের ডঙ্কা বাজিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ।
Nayan Ghosh