বিগত কয়েকদিন ধরেই এমন ঘটনা ঘটছে। তবে ইতিমধ্যেই খবর গিয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের কাছে। শুরু হয়েছে পথবাতি ঠিক করার কাজ।কাঁকসার কালিনগর থেকে আরা পর্যন্ত রাস্তার দু'ধারে রয়েছে পথবাতি। তবে যে উদ্দেশ্যে পথবাতিগুলি লাগানো হয়েছিল, তা সফল হচ্ছে না। আলো, বিদ্যুৎ থাকা সত্ত্বেও, অন্ধকার রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে মানুষকে। আরা থেকে কালিনগর পর্যন্ত রাস্তায়, পথ বাতিগুলি দিনের বেলায় জ্বলে থাকে। অথচ রাত্রি বেলায় ওই রাস্তায় ভরসা টর্চ। অথবা রাস্তা দিয়ে চলাচল করা গাড়ির আলো। আলোর সমস্যার জন্য ব্যস্ত রাস্তায় বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। রাস্তায় পর্যাপ্ত আলো না থাকার ফলে গাড়ি চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ফুটপাত দিয়ে চলাচলকারী মানুষ, এবং সাইকেল চালকদের।তাদের অভিযোগ, ইতিমধ্যেই ঘটনাটি নিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের কাছে দরবার করা হয়েছে। তবে তাদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। ফলে অন্ধকারের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে স্থানীয় মানুষজনকে।
advertisement
পাশাপাশি অপচয় হচ্ছে হাজার হাজার টাকার বিদ্যুতের। তারা বলছেন, সেখানে বিদ্যুতের বিল মেটাতে দেরি হলে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়, সেখানে দপ্তরের কর্মীদের উদাসীনতার কারণে দিনের বেলা আলো জ্বলে হাজার হাজার টাকার বিদ্যুৎ নষ্ট হচ্ছে।এই বিষয়ে মলানদীঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্য বলেছেন, তিনি বেশ কয়েকবার ওই রাস্তায় গিয়েছেন এবং বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন। তিনি বলেছেন, অনেক সময় রাত্রে বেলায় পথ বাতিগুলি জ্বলে না। তবে দিনের বেলায় আলো জ্বলে থাকার ফলে বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছেই। এই বিষয়ে তার আশ্বাস, অতি দ্রুত যাতে অন্ধকারের সমস্যা থেকে স্থানীয়রা মুক্তি পান এবং বিদ্যুৎ অপচয় বন্ধ হয়, সেদিকে তিনি নজর দেবেন। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের কাছে অনুরোধ জানাবেন।প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা বিষয়টি নিয়ে সজাগ হয়েছেন কেন পথবাতিগুলির এমন সমস্যা হচ্ছে, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি সমস্যা মেটাতে কাজ শুরু করেছেন বিদ্যুৎ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার এবং কর্মীরা।
Nayan Ghosh