ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিদ্যালয় চত্বর (School reopen in west Bengal)পরিষ্কার করার কাজ। জীবাণুনাশক স্প্রে করার কাজ চলছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ভাবে স্কুল খোলার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলা এই জায়গায় পিছিয়ে নেই। করোনার সঙ্গে লড়াই করে কিভাবে বিদ্যালয় খোলার পরিকল্পনা চলছে, সে বিষয়ে জানালেন ২০১৯ সালের নিরিখে রাজ্যে সেরা পরিচ্ছন্ন স্কুলের শিরোপা পাওয়া, নেপালিপাড়া হিন্দি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ডাঃ কলিমুল হক।
advertisement
ইতিমধ্যেই বিদ্যালয় খোলার জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে (School reopen in west Bengal)নেপালিপাড়া হিন্দি হাইস্কুলে। ক্লাসরুম পরিস্কার করার কাজ চলছে। পাশাপাশি স্যানিটাইজার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে ক্লাসরুম। বিদ্যালয় চত্বর দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে যে পরিমাণ আগাছা জন্ম নিয়েছিল, সেগুলিও পরিষ্কার করে ফেলা হচ্ছে। পাশাপাশি পরিষ্কার করা হচ্ছে স্কুলের বাথরুম। স্কুল খোলার পরে যাতে করোনার স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মেনে চলা হয়, তার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এব্যাপারে নেপালিপাড়া হিন্দি হাইস্কুলের প্রধান (School reopen in west Bengal)শিক্ষক কলিমুল হক জানিয়েছেন, প্রথম দিন স্কুল খোলার আগে পড়ুয়াদের তাপমাত্রা মাপা হবে। পাশাপাশি থাকবে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। রাখা হবে স্যানিটাইজার। স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার সাবান ব্যবহার করার জন্য কোনওভাবে সেগুলিকে স্পর্শ করার প্রয়োজন পড়বে না। পায়ের সাহায্য চাপ দিলেই বেরিয়ে আসবে স্যানিটাইজার এবং লিকুইড হ্যান্ডওয়াস।
ক্লাস চলাকালীন যাতে স্বাস্থ্যবিধি সম্পূর্ণভাবে (School reopen in west Bengal) রক্ষা করা যায়, তার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল খোলার আগেই স্কুলের ছাত্র এবং শিক্ষকদের নিয়ে তৈরি বিশেষ টিম স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার জন্য প্রস্তুতি চালাবে। সেখানেই বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের পঠন-পাঠন শুরু হবে।
শুরুর দিকে অল্টারনেট ডে' হিসেবে ক্লাস (School reopen in west Bengal)হবে। ক্লাসরুমের মধ্যে কিভাবে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা যায়, তার জন্য চিন্তাভাবনা গ্রহণ করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে রাজ্যের সেরা পরিচ্ছন্ন (School reopen in west Bengal) স্কুলের মর্যাদা পেয়েছে নেপালিপাড়া হিন্দি হাইস্কুল। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কলিমুল হক রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার পেয়েছেন। তাছাড়াও দুর্গাপুরের এই স্কুলের মুকুটে রয়েছে একাধিক পুরস্কার। স্বাভাবিকভাবেই নেপালিপাড়া হিন্দি হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ ১৬ নভেম্বরের আগেই ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সবরকম সুরক্ষার ব্যবস্থা রাখতে চাইছে।
অভিভাবকদের কাছে প্রধান শিক্ষকের (School reopen in west Bengal) অনুরোধ, আপাতত যেন পড়ুয়ারা বাড়ি থেকে টিফিন বক্সে নিজেদের খাবার নিয়ে আসে। কিছুদিনের জন্য বন্ধুদের সঙ্গে সেই খবর যেন ভাগবাটোয়ারা না করে পড়ুয়ারা। নিশ্চিন্তে পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠানোর জন্য অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন কলিমুল হক।
অন্যদিকে, আসানসোলের বিভিন্ন স্কুলের (School reopen in west Bengal) শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। স্কুল খোলার আগে চলছে বিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ. কোভিড বিধি মেনে চলার জন্য একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। একই ছবি দেখা যাচ্ছে দুর্গাপুরের স্কুলগুলিতেও।
দীর্ঘদিন পর স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে খুশি (School reopen in west Bengal) ছাত্র-শিক্ষক মহল। তারা চাইছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে পড়ুয়াদের পঠনপাঠন আবার শুরু হয়। কারণ শিক্ষক এবং ছাত্র, উভয়ই মনে করছে অনলাইন ক্লাস এবং বিদ্যালয় গিয়ে ক্লাস করার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে, স্কুল খোলার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে কর্তৃপক্ষগুলি।
Nayan Ghosh






