পাশাপাশি এই বিষয়ে, প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।পানাগড়, কাঁকসা এলাকায় বিগত কয়েক বছরে ১২ থেকে ১৫ টি জলাশয় অবৈধভাবে বুজিয়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। জলাশয় ভরাট করে, কখনও তা চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে। আবার কখনও সেই জায়গাগুলিতে আবাসন তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিন্তু একের পর এক জলাশয় বুজিয়ে ফেলায়, এলাকার জীব-বৈচিত্র বদলে যাচ্ছে। জল সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে। এই বিষয়ে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন স্থানীয় মানুষজন। সেসময় প্রশাসনের পদক্ষেপে জলাশয় ভরাটের কাজ বন্ধ হয়। তবে কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসেন অসাধু কারবারিরা। তারপর পরিস্থিতির বদল আনতে সুসংগঠিত প্রতিবাদের পরিকল্পনা করেছে পানাগড় কাঁকসা নাগরিক মঞ্চ। পুরো বিষয়টি নিয়ে ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে একটি ডেপুটেশন জমা দেন নাগরিক মঞ্চের সদস্যরা। তারপর বিডিওর অনুমতিক্রমে পোস্টার ছাপানো হয়। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের \'জল ধরো, জল ভরো\' প্রকল্পের কথা। সেই সমস্ত পোস্টারগুলিকে, নাগরিক মঞ্চের সদস্যরা বিভিন্ন জলাশয়ের সামনে লাগানোর কাজ করছেন। তাদের আশা এই সরকারি নির্দেশনামা, জলাশয় ভরাটের কাজের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।
advertisement
সরকারি নির্দেশ ভঙ্গ করতে, কিছুটা হলেও পিছপা হতে পারেন অসাধু কারবারিরা। তবে একই সঙ্গে নাগরিক মঞ্চের সদস্যরা পরিষ্কার করেছেন, এরপরেও যদি পরিস্থিতির বদল না হয়, তাহলে আগামী দিনে তারা বড় আন্দোলনের পথে যাবেন।পরিবেশবিদরা বলছেন, বাড়ির আশপাশের পরিবেশ রক্ষা করতে, স্থানীয় নাগরিকদের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে। নিজেদের পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব, নিজের কাঁধেই নিতে হবে। প্রশাসনের সহযোগিতায় অসাধু কারবারিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তবেই আমরা সুস্থ পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারব।
Nayan Ghosh