মাথার ওপর ঝুলছে করোনার (coronavirus) তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। শিথিলতা দিয়েও বিধিনিষেধ জারি রেখেছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে এগিয়ে আসছে পুজো। তাই করোনা আতঙ্কের মধ্যেই শুরু হচ্ছে পুজো প্রস্তুতি। কিছুটা দেরিতে হলেও, সব উদ্যোক্তারা নিজেদের মতো করে পুজোর আয়োজন শুরু করেছে। খুঁটি পুজোর মাধ্যমে সূচনা হচ্ছে মন্ডপ তৈরির কাজ।
পানাগড় এর অন্যতম বিখ্যাত পুজোগুলির একটি হল পানাগড় বাজার মিত্র সংঘের পুজো। চলতি বছরে, এই পুজো পা দিলো ৮৯ বছরে। শতাব্দীর কাছাকাছি এই পুজোটি এবার পশ্চিম বর্ধমান জেলাবাসীর কাছে অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে। লোটাস টেম্পলের আদলে মণ্ডপ তৈরি করে ক্লাব উদ্যোক্তারা চমক দিতে চান জেলাবাসীকে।
advertisement
ক্লাবের এক উদ্যোক্তা জানিয়েছেন, এ বছর তাদের পুজোর থিম লোটাস টেম্পেল। পুরো মন্দির তৈরীর জন্য বাজেট রাখা হয়েছে সাত লক্ষ টাকা। মণ্ডপে থাকবে সাবেকি প্রতিমা। প্রতিমা আসবে কলকাতার কুমোরটুলি থেকে। তবে মণ্ডপে ঢুকতে হলে অবশ্যই মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। মুখে মাস্ক না থাকলে মণ্ডপে ঢোকা যাবে না। প্যান্ডেলে ঢোকার মুখে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকবে। পুজোর সব কটা দিন, মণ্ডপ এবং মণ্ডপ চত্বর স্যানিটাইজ করা হবে।
অন্যদিকে খুঁটিপুজো সেরেছে বার্নপুর নওজোয়ান সংঘ। তবে এ বছর তাদের পুজোর জৌলুস কিছুটা কমছে। নেপথ্যে করোনা। করোনার জন্য এবছর বার্নপুরের অন্যতম নওজোয়ান ক্লাবের পুজো তাদের বাজেট কমিয়েছে। তবে পুজোর আনন্দ থেকে স্থানীয় মানুষকে বঞ্চিত করতে চাননা ক্লাব সদস্যরা। তাই ছোট করে হলেও পুজোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। খুঁটি পুজোর মাধ্যমে সূচনা হয়েছে মণ্ডপ তৈরির কাজের। যদিও মণ্ডপের থিম সম্পর্কে মুখ খুলতে চাননি উদ্যোক্তারা।
নওজোয়ান সংঘের পুজো মণ্ডপের জায়গাটি নিয়ে কিছুটা বিতর্ক দেখা দিয়েছে। ওই জায়গায় আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ একটি স্থায়ী শেড তৈরি করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু জায়গাটি ইসকো কারখানার অধীনে থাকায়, তারা আপত্তি তুলেছে। এই ব্যাপারে এডিডিএর চেয়ারম্যান তাপস ব্যানার্জি জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে এই জায়গায় শেড তৈরি করার অনুমতি দিয়েছিল ইস্কো কর্তৃপক্ষ। তবে এখন আবার কোনও কারণে আপত্তি তোলা হচ্ছে। তবে পুজোর আয়োজনে খামতি রাখা হবে না। বাজেট কম হলেও, স্থানীয় মানুষ এবং দর্শনার্থীরা যেন হতাশ না হন, সেদিকেও নজর দেওয়া হবে।
Nayan Ghosh