লকডাউন এর মতো কঠিন সময়ে বিখ্যাত হওয়া মা ক্যান্টিনের কনসেপ্ট কিন্তু নতুন নয়। খুব কম পয়সায় রাজ্যবাসীর মুখে পেট ভরে খাবার তুলে দেওয়ার দিশা দেখিয়েছিল তামিলনাড়ু। তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার উদ্যোগে চালু হয়েছিল আম্মা ক্যান্টিন। যেখান থেকে রাজ্যবাসীর মুখে নাম মাত্র টাকায় খাবার তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করেছিল জয়ললিতা সরকার।
যদি পশ্চিমবঙ্গের দিকে নজর ফেরানো যায়, তাহলেও দেখা যাবে মা ক্যান্টিনের মতোই কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে খুব কম টাকায় সাধারণ মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়া হতো। যার অন্যতম উল্লেখযোগ্য উদাহরণ বেনফিশের ভ্রাম্যমান ফুড ট্রাক। যেখানে ৩০ টাকায় মাছে ভাতে বাঙালি মুখে তুলে দেওয়া হত মাছ-ভাত। তা ছাড়াও আরও বিভিন্ন নামের প্রকল্পের মধ্যে খাবার তুলে দেওয়া হত দুস্থ মানুষের মুখে। যার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল বিভিন্ন পাড়ায় ১১ টাকার থালি। করোনাভাইরাস এর মত মহামারীর সময় যা মা ক্যান্টিন রূপে বিরাজমান। এই প্রকল্পটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত।
advertisement
লকডাউন এর মতো কঠিন সময়ে কলকাতাসহ জেলায় জেলায় দুঃস্থ মানুষদের মুখে খাবার তুলে দিতে শুরু হয়েছে মা ক্যান্টিন।৫ টাকায় ডাল, সবজি, ডিম, ভাত মানুষের মুখে তুলে দিচ্ছে এই মা ক্যান্টিন। কুপন সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট সময়ে দেওয়া হচ্ছে খাবার। যাতে করে স্থানীয় মানুষজন ব্যাপকভাবে উপকৃত হচ্ছেন। সরকারের এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন তারা। প্রতিটি জেলার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও মানুষের পাশে থাকতে মা ক্যান্টিন চালু করতে উদ্যোগী হচ্ছেন।
তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছে, এই কঠিন সময়ে প্রতিটি মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়া শাসক দল হিসেবে তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত মা ক্যান্টিন প্রকল্প যে একপ্রকার সফল, তা তৃণমূল নেতৃত্বের প্রকল্প নিয়ে উদ্যোগী মনোভাব এবং সাধারণ মানুষের সন্তুষ্টিই বুঝিয়ে দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মা ক্যান্টিনের মতোই রাজধানী দিল্লিতে রমরমিয়ে চলছে গম্ভীর ক্যান্টিন। প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর উদ্যোগে শুরু হওয়া গম্ভীর ক্যান্টিন দুঃস্থ মানুষদের পরিষেবা দিয়ে চলেছি প্রতিনিয়ত। এক টাকার বিনিময়ে সেখান থেকে পেট ভর্তি খাবার পাচ্ছেন মানুষজন। গোটা দেশের কাছেই যা এক দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পেরেছে।