প্রাথমিকভাবে ৫০% যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নবান্নের তরফ থেকে গ্রিন সিগন্যাল পাওয়ার পরেই শুরু হয়েছে তোড়জোড়। রেলের বিভিন্ন ডিভিশনে শুরু হয়েছে লোকাল ট্রেন চালানোর তৎপরতা। পূর্ব রেলের অধীনস্থ আসানসোল ডিভিশন লোকাল চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে জোরকদমে।
সোমবার সকাল থেকেই চালানো হবে লোকাল ট্রেন। আসানসোল থেকে বর্ধমানগামী, পুরুলিয়াগামী সমস্ত লোকাল ট্রেন চলবে। আসানসোল থেকে যাত্রা শুরু করা অন্যান্য সেকশনের ট্রেনগুলিও পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী চালানো হবে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ। ফের লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার খবরে, স্বস্তিতে কুলি, হকার এবং ছোট ব্যবসায়ীরা।
advertisement
লোকাল ট্রেন চালানোর জন্য সাধারণ মানুষ অনেকদিন ধরেই দাবি তুলে আসছিলেন। কিন্তু সংক্রমণ বাড়তে পারে, এই আশঙ্কা থেকে লোকাল ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছিল নবান্ন। যদিও রেলের তরফ থেকে স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছিল। কিন্তু সেই সংখ্যা অপর্যাপ্ত হওয়ার ফলে, মানুষের ভিড় হচ্ছিল কিছুটা বেশি। দীর্ঘ পাঁচ মাস এইভাবে কাটানোর পরে শুরু হচ্ছে লোকাল ট্রেনের যাত্রা।
ইতিমধ্যেই ট্রেনগুলিকে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। ৫০% যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে আসানসোল ডিভিশন। পাশাপাশি স্টেশন চত্বর এবং ট্রেনের মধ্যে যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয়, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। আসানসোল ডিভিশনে সূত্রে খবর, লোকাল ট্রেনের অর্ধেক সিটিং ক্যাপাসিটি নিয়ে আপাতত লোকাল ট্রেনগুলি চালু করা হচ্ছে। আগে যে সংখ্যক লোকাল ট্রেন আসানসোল থেকে বিভিন্ন সেকশনে চলত, সেই সমস্ত ট্রেনগুলি চালানো হবে। ইতিমধ্যে রেলের আধিকারিক এবং কর্মীরা লোকাল ট্রেন চলাচলের আগে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সোমবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে লোকাল ট্রেনের যাত্রা। তবে এখন ৫০% যাত্রী নিয়েই চলাচল করবে ট্রেনগুলি। স্টেশন চত্বর, ট্রেনের ভিতর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে কিনা, সেদিকে রেলের আধিকারিক এবং রেলপুলিশের কর্মীরা নজর রাখবেন।
রাজ্য সরকারের, লোকাল ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়ায় খুশি সাধারণ মানুষ। কারণ লোকাল ট্রেন চলাচল না করার ফলে, অনেক মানুষকে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল। তাছাড়া ট্রেনের সঙ্গে যে সমস্ত মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভর করছে, তাদের অর্থনৈতিক সংকটে ভুগতে হচ্ছিল। ফলে লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার খবরে স্বস্তিতে রয়েছেন সকলেই।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, লোকাল ট্রেন, স্টেশন চত্বরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সবসময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে হবে নিজেদের। তাহলেই আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবেন মানুষ। লোকাল ট্রেন চলবে সময় মতো। আর রাস্তায় বেরিয়ে অসাবধান হলেই, বিপদের আশঙ্কা বাড়বে।






