ইতিমধ্যেই আসানসোল পুরসভার উদ্যোগে আশা কর্মীদের নিয়ে একটি সম্মেলন করা হয়েছে। সেখানে হাজির ছিলেন আসানসোল পুরসভায় কর্মরতা ৩৪৫ জন আশাকর্মী। ভ্যাকসিনেশনের কাজে তাঁদের কিভাবে কাজে লাগানো হবে, সেবিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আসানসোল পুরসভা চাইছে যে ভাবেই হোক, করোনার তৃতীয় ধাক্কাকে আটকে দিতে। তারজন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে টিকাকরণের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। আসানসোল পুরসভার প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের পৌরহিত্যে একটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল পুরসভার সবকটি ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন সেন্টার তৈরি করা হবে। তার কাজও চলে।
advertisement
এবার সেই কাজে আরও গতি আনতে, আশা কর্মীদের ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।পুরসভার পরিকল্পনা, যারা এখনও ভ্যাকসিন নেননি, তাদেরও যত দ্রুত সম্ভব টিকাকরণের আওতায় আনা। তার জন্য একটি তালিকা তৈরি করা হবে। সেই কাজে লাগানো হবে আশা কর্মীদের। এবার আসাসোল পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছবে ভ্যাকসিন।
তারজন্য প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে আশাকর্মীরা খোঁজ খবর নেবেন, বাড়ির কোনও সদস্য টিকাকরণের তালিকা থেকে বাদ আছেন কিনা। সেইসব মানুষের টিকাকরণের জন্য সবরকম সাহায্য করবেন আশা কর্মীরা। কেউ ভয়ের কারণে ভ্যাকসিন নিতে না চাইলে, তাদের সঙ্গে কথা বলবেন তারা। পাশাপাশি ভ্যাকসিন নিতে নাম নথিভুক্তকরণের পদ্ধতিতে কারও সমস্যা থাকলে, সেখানে আশারা আলো দেখাবেন আশা কর্মীরা।
এই বিষয়ে আসানসোল পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক ঢক্টর দীপক গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, আসানসোলে ১০৬ টি ওয়ার্ডে ১০০ শতাংশ টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। আাশা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়েখোঁজ খবর নেবেন, মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন কিনা। তারজন্য আশাকর্মীদের একটি প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। শিবিরকরে পুরসভা এলাকায় কাজ করা ৩৪৫ জন আশা কর্মীকে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
পুরসভার উদ্যোগে খুশি আসানসোলের মানুষ। তারা বলছেন, অনেকে এখনও ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিতে পারেননি। অনেকে ভ্যাকসিন ভয় পাচ্ছেন। তাছাড়াও বহু মানুষ ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। দুয়ারে সরকারের মতো যদি দুয়ারে ভ্যাকসিনের সাহায্য পাওয়া যা তাহলে, বহু মানুষ উপকৃত হবেন। ১০০ শতাংশ গণটিকাকরণের চাহিদা পূরণ হবে। করোনার বিরুদ্ধে মানুষের লড়াই জোরদার হবে।
Nayan Ghosh