পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক জিতেন্দ্রনাথ রায় গবেষণার কাজে যুক্ত রয়েছেন প্রায় তিন দশক ধরে। আগে তিনি কর্মরত ছিলেন আইআইটি আগরতলায়। কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হলে, সেখানে কাজে যুক্ত হন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে পদার্থবিদ্যা বিভাগ সামলানোর দায়িত্ব দেয়। এই দায়িত্বকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছিলেন পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক জিতেন্দ্রনাথ রায়। বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব তৈরি করে, সেখানেই চালিয়েছেন গবেষণা। আলোর সাহায্যে গণনা, সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে তিনি এই স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। যদিও তার ঝুলিতে যে এমন কোনও স্বীকৃতি আসতে পারে, এ বিষয়ে ধারণা ছিল না অধ্যাপকের। স্বাভাবিকভাবেই অকল্পনীয় এই সাফল্যে খুশি অধ্যাপক জিতেন্দ্রনাথ রায়।
advertisement
গত ১৯ অক্টোবর ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় একটি তালিকা প্রকাশ করে। বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীদের নাম নিয়ে তৈরি করা হয় এই তালিকা। বিশ্বজোড়া বিজ্ঞানীদের ২% নাম তোলা হয়েছে সেই তালিকায়। যেখানে স্থান পেয়েছেন মোট ৩৩৫১ জনের নাম। যার মধ্যে নাম রয়েছে জিতেন্দ্রনাথ বাবুর। যদিও দেশের বিভিন্ন জায়গায় গবেষণার সঙ্গে যুক্ত অনেক বিজ্ঞানীর নাম রয়েছে এই তালিকায়। তবে নতুন প্রতিষ্ঠিত, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা চালিয়ে এমন স্বীকৃতি অভাবনীয় বলেই মনে করছেন অনেকে।
এই বিষয়ে অধ্যাপক জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেছেন, স্বীকৃতি পেয়ে তিনি ভীষণ ভাবে খুশি। তার এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান থেকে তার পড়ুয়ারাও। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাকে। তাঁর পরিবার-পরিজনও ভীষণ খুশি। তার এই গবেষণায় সহযোগী হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আর এক অধ্যাপক। ডঃ পুজা দে তার সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে জিতেন্দ্রনাথ বাবু এবং তার সহযোগী নতুন একটি প্রজেক্ট এর উপর কাজ চালাচ্ছেন।
বর্তমানে অপটো ইলেকট্রনিক্স নিয়ে গবেষণা করছেন জিতেন্দ্রনাথ রায়। এখানেও তার সহযোগী ডঃ পূজা দে। এছাড়াও অপটো স্পিনট্রনিক্স নিয়ে কাজ করছেন তারা। অপটো ইলেক্ট্রনিকস নিয়ে বলতে গিয়ে অধ্যাপক জানিয়েছেন, আলো এবং ইলেকট্রনিক্সকে একসঙ্গে মিশিয়ে তিনি গবেষণা চালাচ্ছেন। তিনি চাইছেন, বায়ো-ডিগ্রেডেবল অপটো ইলেক্ট্রনিকস প্রডাক্ট তৈরি করতে। এই বিষয়ে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার থেকে একটি প্রজেক্টে কাজ করছেন তারা। করোনার মতো কঠিন সময়েও ৩৪ লক্ষ টাকার একটি প্রজেক্টে কাজ চালাচ্ছেন জিতেন্দ্রনাথ রায় এবং পুজা দে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারেই চলছে কাজ। আগামী দিনে অপটো ইলেক্ট্রনিকস নিয়ে আরও কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে এই অধ্যাপকের।