পানাগড় দার্জিলিংয়ের মোড়ের কাছে কিছুদিন আগেই একটি কারখানা গড়ে ওঠে। অনুমতি ছাড়া সেখানে প্রবেশ অধিকার নেই কারোর।কারখানা চত্বরে মুড়ে রাখা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। বিষয়টি দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় মানুষের। তারা সূত্র মারফত জানতে পারেন, ওই কারখানাতে রাসায়নিক এর সাহায্যে ফল পাকানো হচ্ছে ফলফলাদি। পানাগড় সহ আসানসোল, দুর্গাপুর, রানীগঞ্জ এবং পূর্ব বর্ধমানের বেশকিছু বাজারে চলে যাচ্ছে রাসায়নিক দিয়ে পাকানো ওই ফলগুলি।
advertisement
দামে কম এবং দেখতে ভালো হওয়ার জন্য, মানুষ খুব সহজেই প্রলোভিত হয়ে তা কিনছেন। তবে তা শরীরের ক্ষতি করছে অনেক। এমনটাই অভিযোগ নাগরিক মঞ্চের সদস্যের। তাই এই কারখানার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের জন্য প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন পানাগড় নাগরিক মঞ্চের সদস্যরা।
এই বিষয়ে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর কাছে একটি লিখিত আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন তারা। তাদের অনুরোধ, এই বেআইনী কারখানার বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হোক। তাদের অভিযোগ, কারখানাটিতে শিশু শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ আইনবিরুদ্ধ। তাদের অভিযোগ, একটি কারখানার ভিতরে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে বেআইনি কার্যকলাপ চলছে। একটি ফল পাকানোর কারখানার গোটা চত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরার উপস্থিতি দেখে সন্দেহ জেগেছে স্থানীয় মানুষের মনে। ওই কারখানার ভিতরে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ অধিকার নেই কারোর। এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নাগরিক মঞ্চের সদস্যরা।
অন্যদিকে এই বিষয়ে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলা হলে, তারা জানিয়েছেন, দার্জিলিং মোড় এর ওই কারখানা থেকেই সমস্ত ফল নিয়ে আসছেন। তারপর তা বিক্রি করা হচ্ছে। শুধুমাত্র পানাগড় নয়, এই সমস্ত ফলগুলি চলে যাচ্ছে দুর্গাপুর, রানীগঞ্জ, আসানসোল সহ বিভিন্ন বাজারে। নাগরিক মঞ্চের এই অভিযোগ চিন্তা জাগিয়েছে মানুষের মনে। কারণ রাসায়নিক মিশ্রিত ফল খেলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। কিন্তু ফলগুলি দেখে বোঝার উপায় নেই, যে সেগুলি রাসায়নিক দিয়ে পাকানো হয়েছে। সব মিলিয়ে নাগরিক মঞ্চের অভিযোগের ভিত্তিতে চিন্তিত আসানসোল-দুর্গাপুর এবং পূর্ব বর্ধমানের কিছু এলাকার মানুষ।
Nayan Ghosh