কথিত আছে, সেই গোটা গ্রাম জুড়ে দেখা দিয়েছিল কলেরা নামক মহামারী। আর সেই মহামারী থেকে মুক্তি পেতে এই পূজো করার স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন তিনি। বিজয়া দশমীর উইঢিপির মাটি খুঁড়ে আনা হয়, আর সেই উইমাটি দিয়ে শুরু হয় প্রতিমা গড়ার কাজ। এখনও পূজোর শেষে ভোরে পাখির ডাকের পর হয় পাঁঠা বলি। প্রতি বছর প্রায় ৩০/৪০ টি পাঁঠা বলি হয় এই পূজোয়। দক্ষিণা কালি রুপে পূজিতা হোন মা। পঞ্চমুন্ডি আসনেই পূজো হয় মায়ের।
advertisement
বর্তমান পূজো উদ্যোক্তাদের অন্যতম এক সদস্য বলেন, পূজোর পরের দিনেই দিতে হয় মায়ের বিসর্জন। ঠাকুর থেকে গেলে বিপদ অনিবার্য। পূজোর পরের দিন এক হাজারেরও বেশী মানুষ মায়ের অন্নভোগ গ্রহন করেন। পূজোকে ঘিরে আতশবাজি প্রদর্শনীর চল থাকলেও এখন সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে তা বন্ধ রাখা হয়েছে।
কথিত আছে, শতাধিক বছর আগে ধলহারা গ্রামের এই ভট্টাচার্য্য বাড়িতে রাতের অন্ধকারে ডাকাত দল এসেছিল ডাকাতি করতে, কিন্তু ডাকাতি না করে পালাতে হয়েছিল তাদের। পরে তারাই এসে বাড়িতে ক্ষমা চেয়ে বলেছিল, রাতে চুল খোলা অবস্থায় খড়্গ হাতে একজন মহিলা তাদের তাড়া করেছিলো। এসব ঘটনার পরে পরেই ভট্টাচার্য পরিবারের এই দক্ষিণা কালি মাকে জাগ্রত বলে মনে করেন আশেপাশের একাধিক গ্রামের মানুষ। তবে এবারও কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পূজো করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।