ইতিমধ্যেই প্রবল দুর্যোগের পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই যারা সমুদ্রে রয়েছে, সেই সমস্ত ট্রলার দেরও দ্রুত ফিরে আসার বার্তা পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলবর্তী এলাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় চলছে মাইকিং ও সতর্কীকরণ বার্তা প্রচার। নিচু এলাকা থেকে মানুষজন কে সরিয়ে ফ্লাড সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার কাজও শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। তৈরি রয়েছে এনডিআরএফ এর বিশেষ দল।
advertisement
প্রথম পর্যায়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও, শনিবার এর পর থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও ঝাড়গ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী কলকাতা, হুগলি ও নদিয়াতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে অতি ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে, বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
এর আগেও আম্ফান, ইয়াশ এর মত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়ে সর্বস্বান্ত হতে হয়েছিল সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষজনদের। জমির ফসল থেকে মাথাগোঁজার আস্থানা অবধিও হারাতে হয়েছিল বহু পরিবারকে। এই অবস্থায়, আবারও একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়ে রীতিমতো আতঙ্কের প্রহর গুনছেন সুন্দরবনের উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। সপ্তাহান্তে আরো একবার ভাসতে চলেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ রাজ্যের উপকূলবর্তী বেশ কয়েকটি জেলা।
অপরদিকে, ডিসেম্বরের বেশ কয়েকটা দিন কেটে গেলেও, এখনও সেভাবে দেখা মেলেনি শীতের। ভোরে এবং রাতের দিতে তাপমাত্রার পারদ অনেকটাই নামতে শুরু করেছিল জেলায়। কিন্তু, নিম্নচাপের প্রভাবে ফের খানিকটা বেড়েছে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পরিমাণ ২৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে ৯৩ শতাংশের কাছকাছি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, "আজ থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ৪,৫,৬ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পাশাপাশি ৫ তারিখ বৃষ্টি আরো বাড়তে পারে বলেই অনুমান করা যাচ্ছে।"
ফলে ডিসেম্বরের শুরুতে জাঁকিয়ে শীত অধরা থেকে গেলেও, জাওয়াদ এর বিদায়ের পর কলকাতাবাসী জাঁকিয়ে শীতের আমেজ উপভোগ করতে পারবেন বলে আশাবাদী আবহাওয়াবিদরা।