ঘটনার খবর জানতে পেরে বন দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে বাঘের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন (South 24 Parganas News)। গ্রাম লাগোয়া ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে সে সময় বাঘ লুকিয়ে রয়েছে বলে সিদ্ধান্তে উপনীত হন বনকর্মীরা। এরপর সেই ম্যানগ্রোভ জঙ্গল টিকে নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। দিনভর বাজি পটকা ফাটানো হয় বাঘকে জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর জন্য। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত বাঘ জঙ্গলে ফিরে না যাওয়ায়, বন দফতর এর তরফ থেকে দুটি খাঁচা পাতা হয় বাঘ ধরার জন্য। অন্যদিকে, ওই এলাকার গ্রামের রাস্তায় আলো জ্বালানো হয়, পাশাপাশি রাত পাহাড়ার ব্যবস্থা করা হয় (South 24 Parganas News)। যাতে কোনোভাবেই বাঘটি গ্রামের ভিতর প্রবেশ করতে না পারে। চলে আতঙ্কের প্রহর গোনা। অবশেষে ভোরের দিকে খাঁচাবন্দি হয় গোসাবার লোকালয়ে ঢুকে পড়া রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
advertisement
সুন্দরবন ফিল্ড সুপারভাইজার স্টিফেন জোন্স বলেন, "এদিন ভোরে বন দফতর এর পাতা খাঁচায় ধরা পড়ে বাঘ। খাঁচায় বন্দী অবস্থায় তাকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তবেই পুনরায় জঙ্গলে ছাড়া হবে। তবে অনুমান করা হচ্ছে বাঘটির বয়স বেশ অনেকটাই। পরীক্ষার পর আমরা সে বিষয়ে বিশদ জানতে পারবো।"
শেষ পর্যন্ত বাঘ ধরা পড়ায় খুশি বনকর্মীরা, স্বস্তির নিঃশ্বাস গোসোবার মথুরাখন্ড গ্রামের বাসিন্দাদের। তবে কেন এভাবে বারংবার সুন্দরবনের জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার! খাবারের সংকুলান নাকি মিঠা জলপানের জন্যই লোকালয়ে প্রবেশ, উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন বনকর্মীরা।
Rudra Narayan Roy