কপিলমুনির মন্দিরের(kapil muni ashram) ভবিষ্যৎ নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। গঙ্গাসাগরে দিবারাত্র এখন পাড় ভাঙার শব্দ। সাগরের ভাঙন সমস্যা দীর্ঘদিনের। এখন কোন সমাধান সূত্র বের হয়নি বলেই স্থানীয় মানুষের দাবি। ফলে নতুন করে পাড় ভাঙছে গঙ্গাসাগরে। সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে কপিলমুনির নতুন মন্দিরটি।
ভাঙন রুখতে না-পারলে সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাবে এই মন্দিরও(kapil muni ashram)৷ অস্তিত্ব হারাবে সুপ্রাচীন তীর্থভূমি গঙ্গাসাগর। সাগর ভাঙন নিয়ে বিচলিত জেলা প্রশাসন। ভাঙন রোধে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে প্রায় তিন বছর ধরে। কিন্তু এখনও সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা গেল না কেন, তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে প্রশাসনের অন্দরেই।
advertisement
গঙ্গাসাগরের ভাঙনপ্রবণ প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূল বরাবর সারিবদ্ধ ভাবে নারকেল গাছ পুঁতেছিল প্রশাসন। তারও একাংশ সম্প্রতি ভাঙনের কবলে পড়েছে। এই ঘটনা প্রশাসনের আরো চিন্তা বাড়িয়ে তুলেছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর গঙ্গাসাগরে ১০০ থেকে ২০০ ফুট এলাকা সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে । ২০১৯ সালে গঙ্গাসাগরের ভাঙন ঠেকাতে তৎপর হয় সরকার। গঙ্গাসাগর-বকখালি উন্নয়ন পর্যদ এবং রাজ্যের পৌর দফতর যৌথ ভাবে এই নিয়ে কাজ শুরু করে।
সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা বলেন, ‘‘গঙ্গাসাগরের মন্দিরকে রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার৷ ইতিমধ্যেই মাস্টার প্ল্যান তৈরি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় যশে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাগর বিধানসভার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। প্রশাসনিক অনুমোদন-সহ সবই প্রস্তুত। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। রাজ্যের পরিবেশ দফতর প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দিয়েছে। কেন্দ্রের ছাড়পত্র পেলেই কাজ শুরু করা সম্ভব।"
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগনাথন বলেন, ' কেন্দ্রের কাছ থেকে সিআরজেড ছাড়পত্র এসে গেলে তা পরিবেশ দফতরে পাঠানো হবে । তার পরে অর্থ মঞ্জুর হয়ে গেলে কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।’’
জানুয়ারি মাসের মকর সংক্রান্তিতে(kapil muni ashram) এই সাগর পূণ্যভূমিতে রাজ্য-সহ দেশ-বিদেশের বহু পূণ্যার্থীর সমাগম হয়। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয়েই সাগরের ভাঙন রক্ষায় এগিয়ে এলে তবেই মন্দিরটি রক্ষা করা যেতে পারে বলে মত স্থানীয়দের। কবে কেন্দ্রের ছাড়পত্র মেলে এখন সেদিকেই তাকিয়ে জেলা প্রশাসন।
রুদ্র নারায়ন রায়