দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাতগাছিয়া বিধানসভার অন্তর্গত বিষ্ণুপুর দু নম্বর ব্লকের গোবিন্দপুর কালিচরণ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর গ্রাম। এই গ্রামে একই সঙ্গে ১৭ জন কোভিড পজেটিভ হওয়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসক এর পক্ষ থেকে এই গ্রামটিকে কনটেইনমেন্ট জোন (containment zone) হিসেবে ঘোষণা করা হয় ।
পাশাপাশি, রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার ৩৫ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০ টি ওয়ার্ডের বেশকিছু জায়গাকেও কনটেইনমেন্ট জোন(containment zone) করা হয়েছে। পৌরসভার ১, ২,৩, ৬, ১০, ১৯, ২১, ২৫, ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের এই জায়গা গুলোকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে ঘিরে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। এই পৌরসভায় প্রায় পাঁচ লক্ষের অধিক মানুষের বসবাস।
advertisement
অপরদিকে, গোসাবার বাজার এলাকা গুলিকে কয়েক দিন টানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। গোসাবার বিডিও সৌরভ মিত্র, রাস্তায় নেমে মাইকিং ও সচেতনতার বার্তা দিয়ে লাগাতার প্রচার চালাচ্ছেন। পাশাপাশি, মাস্ক বিহীন মানুষদের ৫০০ টাকা করে জরিমানাও ধার্য্য করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
যাতে সাধারণ মানুষজন বা কোন ফেরিওয়ালা ওই এলাকা গুলিতে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য চলছে নজরদারি। কয়েকটি এলাকায় স্বাস্থ্য কর্মীদেরকে দু -তিনটি গ্রুপে ভাগ করে পাঠানো হবে এবং এলাকার মধ্যে থাকা প্রতিটি মানুষের সোয়াব টেস্ট করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে। আক্রান্তদের ইতিমধ্যেই সেফ হোমে রাখার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
জেলাজুড়ে নানান ভাবে চলছে করোনা সচেতনতা। তাও এখনো বহু ক্ষেত্রে মাস্ক( coronavirus) বিহীন মানুষজনকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের জন্য ইতিমধ্যেই কড়া নজরদারি চালানো শুরু হয়েছে। সবমিলিয়ে জেলায় করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে জেলা প্রশাসনের। সামনে আসছে শারদ উৎসব, তার আগে করোনার তৃতীয় ঢেউ থেকে কতটা বাচ্চা সম্ভব হবে এখন সেটাই প্রশ্নের মুখে!
রুদ্র নারায়ন রায়