মৎস্যজীবী বিকাশ বর্মন ও তার দলের বেশ কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরেন।ক্যানিং-এর গোসাবা ব্লকের দুলকির সোনাগাঁও গ্রাম থেকে বিকাশ বর্মন, রাহুল বর্মন, সৈকত বর্মন, কমলেশ বর্মন ও কালিপদ বর নামে পাঁচ জন মৎস্যজীবী সুন্দরবনের কপূরা নদীতে যান মাছ ধরাতে। সেখানেই তাঁদের জালে ধরা পড়ে দৈত্যাকার ওজনের তেলেভোলা (Telia Bhola fish) মাছ। জালে ধরা পড়া সেই দৈত্যাকার মাছটিকে তুলতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় মৎস্যজীবীদের। বড় মাছ ধরা পড়তেই, এরপর তাঁরা মাছটিকে ক্যানিংয়ের প্রভাত মন্ডলের মাছের আড়তে নিয়ে আসেন। আর সেখানে থেকেই ব্রিক্রির জন্য মাছের দর উঠতে থাকে।
advertisement
দৈত্যাকার (giant fish) সেই তেলেভোলা মাছ দেখতে ভিড় জমে যায় আরতে। শুরু হয় মাছের সঙ্গে ছবি তোলার হিড়িক। যা সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় আরতদারদের। অবশেষে ৩৬ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয় সেই তেলেভোলা মাছ। মাছটি কিনে নেন, কলকাতার কেএমপি নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ৪৯,৩০০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয় মাছটি।
আরও পড়ুন Bangla News: সর্বস্ব খোয়ানোর আগে এখনই সাবধান হোন, যেভাবে ATM জালিয়াতি করছিল এই জামতারা গ্যাং!
কিন্তু কেন এত দাম উঠল মাছটির! জানা গিয়েছে, ওই মাছের পেটেই রয়েছে মহামূল্যবান কিছু সম্পদ, যার কারণেই মাছটির এত দাম উঠেছিল। তবে এই মূল্যবান সম্পদ কিন্তু কোন টাকা পয়সা কিংবা সোনা গহনা নয়। তা হল এই মাছের পেটে থাকা পটকা। যা দিয়ে তৈরি করা হবে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, জিনিসপত্র (Medicinal Value)। আর সেগুলো ব্যবহৃত হবে অস্ত্রোপচারের পর সেলাইয়ের কাজে। সেই কারণেই এই মাছের এত দাম বলে জানান, ওই প্রতিষ্ঠানের এক আধিকারিক।
এবিষয়ে মৎস্যজীবী বিকাশ বর্মন জানান, বহুদিন ধরেই মাছ (Sundanban fisherman) ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি। তবে প্রতিবছর মূলত ভোলা মাছ ধরতে গেলেও, এইবার তাঁর জালে এত বড় মাছ ধরা পড়ল। এর আগে কখনও এমনটা হয়নি। স্বভাবতই খুশি বিকাশ সহ তার দলের অন্যান্য মৎস্যজীবীরা।
রুদ্র নারায়ন রায়