করোনার চোখ রাঙানিতে প্রায় দেড় বছর ধরে তলানিতে ঠেকেছিল পর্যটন ব্যবসা। রিসর্ট মালিক থেকে শুরু করে পর্যটনশিল্পের সঙ্গে যুক্তদের কপালে ছিল চিন্তার ভাঁজ। এসব কথা মাথায় রেখে এবার ঘুরে দাঁড়াতে উদ্যোগী হয়েছেন সকলে। এতে অবশ্য সহযোগিতা করেছে স্থানীয় থেকে শুরু করে জেলাস্তরের প্রশাসন। অনেক চিন্তাভাবনার পর পর্যটকদের সুস্বাগত জানাতে কোমর বেঁধেছে ডুয়ার্স ট্যুরিজম।
advertisement
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট স্যান্যালের কথায়, \'যখন বিভিন্ন জেলায় আরটিপিসিআর ও ডাবল ভ্যাকসিনের নির্দেশিকা এসেছিল, তখন আমরা র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের প্রস্তাব রেখেছিলাম। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন আমাদের এই প্রস্তাবকে মান্যতা দিয়ে আজ থেকে পরীক্ষা চালু করেছে। এতে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। আমরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এছাড়াও আমরা চাই আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলায় এই ব্যবস্থা দ্রুত শুরু হোক। সবমিলিয়ে পর্যটক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ তাহলে আরও বেশি সুরক্ষিত থাকবে।\'
এর পাশাপাশি সম্রাটবাবু আরও বলেন, \'সপ্তাহের শেষে স্থানীয়রা আসছেন মূর্তি নদীর ধারে। তবে তাঁদেরও আমরা সচেতন করে চলেছি প্রতিনিয়ত। পর্যটনশিল্পের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দূর থেকে আগতদের আমরা বাইরের খাবার না খেয়ে রিসর্টের ইন-হাউজ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।\'
অ্যাসোসিয়েশন ফর কনসার্ভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজমের রুরাল হেলথ কোঅর্ডিনেটর তন্নিষ্ঠা রক্ষিত বলেন, \'গত ১৪ জুলাইয়ের নির্দেশিকা অনুযায়ী গরুমারা ট্যুরিজম ওয়েলফেয়ারের সদস্যরা বিডিও এবং এসডিওর কাছে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থার আবেদন করে। সেই হিসেবে আজ থেকে নিউ মাল জংশনে শুরু হয় পর্যটকদের জন্য টেস্টের ব্যবস্থা। প্রতি সোম থেকে শুক্রবার মৌলানীতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত টেস্ট করা হবে। এছাড়া শনিবার ও রবিবার লাটাগুড়িতে এনআইসি কাউন্টার-এর সামনে টেস্ট হবে। আজ যাঁদের পরীক্ষা হয়েছিল, সবার রিপোর্ট নেগেটিভ। ফলে আমরা খানিকটা স্বস্তিতে রয়েছি।\'
ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব বলেন, \'কোভিড বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হওয়ায় পর্যটকরা আসতে শুরু করেছেন। আমরা আজ থেকে নিউ মাল জংশনে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও চালসা লাগোয়া মৌলানি হাসপাতালে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাঁদের ভ্যাকসিনের ডাবল ডোজ নেওয়া আছে, তাঁরা সার্টিফিকেট দেখালে টেস্টের প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি রিসর্টগুলোতেও কোভিড প্রটোকল মানা হচ্ছে। সমস্ত কর্মচারীদের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে।\'
ভাস্কর চক্রবর্তী