TRENDING:

শিলিগুড়িতে আড়ম্বরহীন স্ট্যাটিস্টিক্স ডে, মহলানবিশকে শ্রদ্ধা বিভিন্ন মহলে

Last Updated:

প্রসঙ্গত, প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ ২৯ জুন ১৮৯৩ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
শিলিগুড়ি: অন্যান্য বছরে এদিন রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলগুলোতে নানান আয়োজন করা হত। কারণ, আজ প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের জন্মদিন। তিনি হলেন একজন ভারতীয় বিজ্ঞানী এবং পরিসংখ্যানবিদ ছিলেন। মহলানবিশ দূরত্ব নামক ধারণাটির জন্য এবং মুক্ত ভারতের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হওয়ায় তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন। তিনি ভারতে নৃবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। তিনিই ভারতীয় পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউট অর্থাৎ ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং বড় আকারের নমুনা জরিপের নকশায় অবদান রেখেছিলেন। তাঁকে ভারতে আধুনিক পরিসংখ্যানের জনকও বলা হয়। তাই তাঁর জন্মদিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে আজকের দিনটিকে 'জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস' বলে জানা যায়। তবে এবছরও বাঁধ সাধল করোনা। কোনও স্কুলেই পালন করা গেল না এই মনীষীর দিনটিকে।
advertisement

এদিন আক্ষেপের সুরে শিলিগুড়ি বুদ্ধ ভারতী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপ্নেন্দু নন্দী বলেন, 'ইচ্ছা থাকলেও উপায় করে ওঠা গেল না। শিক্ষার্থীরা নেই, তাই আমরা ভার্চুয়ালি দিনটির গুরুত্বতা লেখনির আকারে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করে ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু বড় করে পালন বা কোনও আলোচনা চক্র বা কোনও অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়নি। করোনার জেরে শিক্ষা জগতের এই দিকপালও আজ যেন ব্রাত্য।'

advertisement

প্রসঙ্গত, প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ ২৯ জুন ১৮৯৩ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। আমাদের কাছে তাঁর মূল পরিচিতি পরিসংখ্যান গণিতের পরিমাপক একক 'মহলানবিশ দূরত্ব'-এর আবিষ্কারক হিসেবে। এছাড়াও তিনি স্বাধীন ভারতের (১৯৫৫-১৯৬৭) পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। দ্বিতীয় পরিকল্পনা কমিশনের কাজে মহলানবিশের গাণিতিক বিশ্লেষণ ও যুক্তিকে কাজে লাগিয়ে শিল্পের উন্নতি হয়েছিল। তাই পরবর্তীতে সেটি 'মহলানবিশ মডেল' নামে বিখ্যাত হয়ে পরে।

advertisement

১৯১২ সালে তিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে ইংল্যান্ডে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন। সেখানেই তিনি স্ট্যাটিস্টিক্স বিষয়ে আগ্রহী হন। ১৯২২ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে তিনি পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে যুক্ত হন। তখন তিনি বায়োলজি, মেটারোলজি ও অ্যান্থ্রোপলজি বিষয়ে তিনি পরিসংখ্যানতত্ত্ব প্রয়োগ করেন। ১৯৩১ সালের ১৭ ডিসেম্বর তিনি স্ট্যাটিস্টিক্সের সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ স্ট্যাটিস্টিক্স (আইএসআই)-এর প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬৮ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মবিভূষণ সম্মানে সম্মানিত করে। এভাবেই তাঁর জন্মদিবসকে 'জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস' অথবা 'ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স ডে' হিসেবে পালন করা হয়। তবে কোভিড পরিস্থিতিতে অনেকেই এই দিনটি পালন করতে পিছপা হয়েছেন।

advertisement

বলাবাহুল্য, পরিসংখ্যান সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে বিশেষ করে, আর্থ-সামাজিক পরিকল্পনা ও নীতি রূপায়ণে পরিসংখ্যানের ভূমিকা সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে অবহিত করতে বিশেষ এই দিনটি পালন করা হয়ে থাকে। তবে এবার করোনার দাপটে এই দিনটি আগের মতো পালন করা না হলেও শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
​'শুভ বিজয়া' সন্দেশ স্পেশালে মন মজেছে জনতার! বর্ধমানের মিষ্টির দোকানে ভিড়
আরও দেখুন

ভাস্কর চক্রবর্তী

বাংলা খবর/ খবর/Local News/
শিলিগুড়িতে আড়ম্বরহীন স্ট্যাটিস্টিক্স ডে, মহলানবিশকে শ্রদ্ধা বিভিন্ন মহলে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল