TRENDING:

করোনাবিধি মেনে শিলিগুড়িজুড়ে সিদ্ধিদাতার আরাধনা

Last Updated:

করোনাকালেই ওঁ গাং গণেশায় নমঃ শিলিগুড়ি জুড়ে আরাধনা সিদ্ধিদাতার

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ভাস্কর চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: আজ শুক্রবার সিদ্ধিদাতা গণেশ পুজো। বাঙালি মতে, গণেশ চতুর্থী (Ganesh Chaturthi)। মহারাষ্ট্রের মতো প্রতি বছরই বঙ্গে গণপতির পুজো নিয়ে উদ্যোক্তাদের ব্যস্ততা থাকে তুঙ্গে। গত কয়েক বছর ধরেই শিলিগুড়িতে বিধানমার্কেট গণেশ পুজো কমিটি, এয়ারভিউ মোড় পুজো কমিটি, কলেজ পাড়া গণেশ পুজো কমিটি, আশ্রমপাড়া গণেশ পুজো কমিটি, হায়দরপাড়া সুপারিতলা যুবকবৃন্দের গণেশ পুজো ইতিমধ্যে শহরের মনে দাগ কাটতে সফল। কার্যত গণেশ পুজোর মধ্য দিয়েই শিলিগুড়িতে শুরু হয়ে যেত উৎসব মরসুমের সূচনা। হই হই ব্যাপার পড়ে যেত। পুজো মণ্ডপগুলোতে উপচে পড়ত ভিড়। যার শেষ হত নতুন ইংরেজি বর্ষকে বরণের মধ্য দিয়ে। গতবার ছিল সবই ফিকে! তবে কোভিড ভ্যাকসিন ও প্রশাসনিক তৎপরতায় এবার পুজো হচ্ছে। সাবধানতা অবলম্বন করে। তবে শিলিগুড়ির ব্যবসায়িক থেকে ঘরোয়া গণেশ পুজোর কৌলিন্য চলতি বছরেও যেন হারিয়েছে অনেকটাই।
advertisement

চলতি বছরে বড় পুজোর রাশ টেনেছে প্রশাসন। আর তাই উৎসবের বহরও নেই। পুজো হলেও সেই আড়ম্বর ভাবটা যে ফিকে হয়েছে তা পরিষ্কার। তাই মন খারাপ পুজো উদ্যোক্তাদের। শহরজুড়ে টানা দশ দিন ধরে চলে সিদ্ধিদাতার আরাধনা। সঙ্গে নানান অনুষ্ঠান। গতবছরের মতো এবছরও অনেক বড় বাজেটের পুজো হবে নমঃ নমঃ করে। ছোটো প্রতিমায়। ছোটো আয়োজনে।

advertisement

এপ্রসঙ্গে ১৫ নং ওয়ার্ডের গণেশ পুজো কমিটির সভাপতি প্রদীপ দে নিউজ ১৮ লোকালকে  বলেন, 'করোনাকালে যেভাবে গতবছর প্রত্যেকটি মানুষ ঘরবন্দী হয়ে পড়েছিল এবার সেই চিত্র কিছুটা হলেও পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের মধ্যে উৎসাহ দেখা গিয়েছে। এর পিছনে প্রশাসনিক তৎপরতা ও ভ্যাকসিনেশনের দান বললে ভুল হবে না।' তিনি আরও বলেন, 'সম্পূর্ণ বাঙালি রীতি মেনে আমাদের এই গণেশ পুজো। পুজো আমরা সম্পূর্ণ সামাজিকবিধি ও কোভিডেদের নিয়ম-নীতি মেনে করছি। আমাদের এই পুজো তিনদিন হবে। আর তিনদিনই আমরা সম্পূর্ণ পূজো মণ্ডপ তিনবেলা স্যানিটাইজ করার পরিকল্পনা নিয়েছি।'

advertisement

শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ার বাসিন্দা অমৃতা মুখোপাধ্যায়। পেশায় আইনজীবী। সেইসঙ্গে নতুন উদ্যোগ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অন্যতম সদস্যা। নিউজ ১৮ লোকালকে তিনি বলেন, 'আজ গণেশ চতুর্থীর মাধ্যমে কিন্তু বাঙালির পুজোর ঢাকের কাঠি পড়ে গেল। কারণ এরপরেই বিশ্বকর্মা পুজো, তারপর মহালায়া অতঃপর বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। গতবছর করোনা মহামারীর জেরে কোন পুজোই সেই অর্থে হয়নি। বড় বাজেটের পুজোর কথা তো ছেড়েই দিন। নমঃ নমঃ করে সারা হয়েছিল। অনেক পুজো তো অনুমতি পায়নি। তবে এবছর একটু হলেও সেই চিত্র পরিবর্তন হয়েছে। শিলিগুড়ির বেশ বড় বড় ব্যবসায়ী কেন্দ্রগুলিতে গণেশ পুজোর রীতি এবছরও অক্ষুন্ন থাকছে। তবে আড়ম্বর সেই অর্থে চোখে পরেনি।'

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দীপাবলির পরেই শুরু হয় ভৈলিনি-দেওসি! কীভাবে এই উৎসব পালন করে জানেন?
আরও দেখুন

করোনার কথা জিজ্ঞেস করায় অমৃতাদেবীর উত্তর, 'দেখুন আর্থিকভাবে এই করোনা অনেক ব্যবসাকে বসিয়ে দিয়েছে। একথা সবাই আমরা জানি। সেখানে দাঁড়িয়ে বড় পুজো করাটা যেমন দৃষ্টিকটু, তেমনই অনুচিত। তবে জীবন থেমে থাকে না। না থেমে থাকে সময়। তাই ঘর থেকে বেরিয়ে জীবনকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানোটা যেমন দায়িত্ব আমাদের তেমনই নিজেদের জীবনকে সুরক্ষিত রেখে, সচেতন থেকে সময়ের সঙ্গে সেই জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াও আমাদের অন্যতম কর্তব্য।'

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/Local News/
করোনাবিধি মেনে শিলিগুড়িজুড়ে সিদ্ধিদাতার আরাধনা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল