চলতি বছরে বড় পুজোর রাশ টেনেছে প্রশাসন। আর তাই উৎসবের বহরও নেই। পুজো হলেও সেই আড়ম্বর ভাবটা যে ফিকে হয়েছে তা পরিষ্কার। তাই মন খারাপ পুজো উদ্যোক্তাদের। শহরজুড়ে টানা দশ দিন ধরে চলে সিদ্ধিদাতার আরাধনা। সঙ্গে নানান অনুষ্ঠান। গতবছরের মতো এবছরও অনেক বড় বাজেটের পুজো হবে নমঃ নমঃ করে। ছোটো প্রতিমায়। ছোটো আয়োজনে।
advertisement
এপ্রসঙ্গে ১৫ নং ওয়ার্ডের গণেশ পুজো কমিটির সভাপতি প্রদীপ দে নিউজ ১৮ লোকালকে বলেন, 'করোনাকালে যেভাবে গতবছর প্রত্যেকটি মানুষ ঘরবন্দী হয়ে পড়েছিল এবার সেই চিত্র কিছুটা হলেও পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের মধ্যে উৎসাহ দেখা গিয়েছে। এর পিছনে প্রশাসনিক তৎপরতা ও ভ্যাকসিনেশনের দান বললে ভুল হবে না।' তিনি আরও বলেন, 'সম্পূর্ণ বাঙালি রীতি মেনে আমাদের এই গণেশ পুজো। পুজো আমরা সম্পূর্ণ সামাজিকবিধি ও কোভিডেদের নিয়ম-নীতি মেনে করছি। আমাদের এই পুজো তিনদিন হবে। আর তিনদিনই আমরা সম্পূর্ণ পূজো মণ্ডপ তিনবেলা স্যানিটাইজ করার পরিকল্পনা নিয়েছি।'
শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ার বাসিন্দা অমৃতা মুখোপাধ্যায়। পেশায় আইনজীবী। সেইসঙ্গে নতুন উদ্যোগ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অন্যতম সদস্যা। নিউজ ১৮ লোকালকে তিনি বলেন, 'আজ গণেশ চতুর্থীর মাধ্যমে কিন্তু বাঙালির পুজোর ঢাকের কাঠি পড়ে গেল। কারণ এরপরেই বিশ্বকর্মা পুজো, তারপর মহালায়া অতঃপর বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। গতবছর করোনা মহামারীর জেরে কোন পুজোই সেই অর্থে হয়নি। বড় বাজেটের পুজোর কথা তো ছেড়েই দিন। নমঃ নমঃ করে সারা হয়েছিল। অনেক পুজো তো অনুমতি পায়নি। তবে এবছর একটু হলেও সেই চিত্র পরিবর্তন হয়েছে। শিলিগুড়ির বেশ বড় বড় ব্যবসায়ী কেন্দ্রগুলিতে গণেশ পুজোর রীতি এবছরও অক্ষুন্ন থাকছে। তবে আড়ম্বর সেই অর্থে চোখে পরেনি।'
করোনার কথা জিজ্ঞেস করায় অমৃতাদেবীর উত্তর, 'দেখুন আর্থিকভাবে এই করোনা অনেক ব্যবসাকে বসিয়ে দিয়েছে। একথা সবাই আমরা জানি। সেখানে দাঁড়িয়ে বড় পুজো করাটা যেমন দৃষ্টিকটু, তেমনই অনুচিত। তবে জীবন থেমে থাকে না। না থেমে থাকে সময়। তাই ঘর থেকে বেরিয়ে জীবনকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানোটা যেমন দায়িত্ব আমাদের তেমনই নিজেদের জীবনকে সুরক্ষিত রেখে, সচেতন থেকে সময়ের সঙ্গে সেই জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াও আমাদের অন্যতম কর্তব্য।'