#শিলিগুড়ি: উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান পাচ্ছে না ভূমিপুত্ররা। বহিরাগতদের প্রবেশে করোনাকালে কর্মহীন বহু ভূমিপুত্র। এরই প্রতিবাদে এ দিন শিলিগুড়ি (Siliguri) বাংলাপক্ষের তরফ থেকে সাহুডাঙ্গি শিল্পাঞ্চল এলাকায় আমুল দুগ্ধজাত পণ্যের কারখানায় স্থানীয় ভূমিপুত্রদের কাজে নেওয়ার দাবিতে ডেপুটেশন প্রদান এবং বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। উপস্থিত ছিল বাংলা পক্ষের শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক গিরিধারী রায়, আশিষ সাহা সহ সংগঠনের সদস্যরা এবং এলাকার চাকরিপ্রার্থী ও সাধারণ জনগণ।
advertisement
বাংলাপক্ষের শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক গিরিধারী রায় বলেন, 'আমরা জানতে পারি এই ইন্ডাষ্ট্রিতে ভূমিপুত্রদের কাজে না নিয়ে বহিরাগতদের কাজের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ১৯৫৬ সালের রাজ্য পুনর্গঠন আইন অনুযায়ী ভারতের রাজ্যগুলোর সীমানা নির্ধারন বা রাজ্যগুলো পুনর্গঠন করা হয় ভাষার ভিত্তিতে। পশ্চিম বাংলার ৮৬% মানুষের মুখের ভাষা বাংলা এবং তারমধ্যে প্রায় ৭০% - ৭৫% মানুষ বাংলা ছাড়া অন্য কোনও ভাষা পড়তে, বলতে এবং বুঝতে পারেন না। সেইসঙ্গে সংবিধান অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ ক্যাটাগরি 'সি' স্টেট বা রাজ্য এই রাজ্যের সমস্ত ক্ষেত্রের পরিষেবা বাংলা ভাষায় দেওয়া বাধ্যতামূলক এবং পরিষেবা বাংলায় পাওয়া এই রাজ্যের মানুষের সাংবিধানিক অধিকারও।
কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বাংলার বড়ো বড় ইন্ডাষ্ট্রিগুলো ভূমিপুত্রদের কাজ না দিয়ে বহিরাগতদের হাতে কাজগুলো তুলে দিচ্ছেন যার ফলে তাদের বাংলা না জানার কারণে ভাষাগত সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে একাধিক ব্যক্তিকে একাধিক সময়৷’ তিনি আরও বলেন, 'ভারতের অন্যান্য বিভিন্ন রাজ্যে স্টেট ডোমিসাইল বা ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইন কার্যকর করা হয়েছে এবং বিহার ও উত্তরপ্রদেশে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইন কার্যকর করবার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে৷ এমতাবস্থায় বাংলার ছেলে, মেয়েদের বাইরের রাজ্যে গিয়ে কাজ বা চাকরি করবার অবস্থা নেই বললেই চলে। এই রাজ্যের কর্মসংস্থানগুলোই তাঁদের একমাত্র ভরসা কিন্তু এখানেও দেখা যাচ্ছে তাঁদের কাজ না দিয়ে বহিরাগতদের যেমন ইউপি, বিহারের ছেলে মেয়েদের আগে কাজ দেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এই বাংলা ভূমিপুত্ররা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?'
এখানেই থামেননি গিরিধারীবাবু। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, যদি এই সমস্যার সমাধান না হয়, তবে বড় আন্দোলনে নামা হবে।