তবে তাইকোয়াণ্ডুতে ব্ল্যাক বেল্ট মাস্টার হওয়া সত্বেও প্রকাশ্যে তাঁর নাম আসেনি বললেই চলে। এই খেলা নিয়ে শহরে তেমন চাউর নেই। থাকলেও খুবই সামান্য। এই খেলা নিয়ে সেরকম করে কেউ ভাবেইনি। এই বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন পিনাকীর মা সূপর্ণাদেবী।
লকডাউনে ঘরেই অনলাইন মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পদকলাভ করেছেন তিনি। ঘরে সাজানো রয়েছে সেগুলি। এর পাশাপাশি প্রতিযোগিতাগুলিতে এন্ট্রি ফিস (প্রবেশ মূল্য) থেকে কিছুটা অর্থ দুঃস্থদের মধ্যে বিলিয়ে দেন তিনি। পিনাকী শহরের নাম উজ্জ্বল করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্তরেও শিলিগুড়িকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।
advertisement
পিনাকীর কথায়, \'লকডাউনে শরীরচর্চার থেকে বড় দাওয়াই আর কিছু নেই। সবাইকেই অল্পবিস্তর শারীরিক চর্চা করা প্রয়োজন। অনলাইন মাধ্যমে অনেক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উচুমানের শিক্ষকদের থেকে আমি তালিম পেয়েছি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলা থেকে জাতীয় স্তরে, সবেতেই শিলিগুড়ির নাম থাকুক আমি এটাই চাই।\'
তিনি বলেন, \'এখানে এমন অনেক প্রতিভাবান ছেলেমেয়েরা রয়েছে। সঠিক প্রশিক্ষণ ও প্রচারের অভাবে তারা পিছিয়ে থাকছে। আমাদের উচিত এই আন্তর্জাতিক মানের খেলাকে গুরুত্ব দিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। মূলত পিছিয়ে পড়া সমাজের ছেলেমেয়েরা যদি উপকৃত হয়, তাহলে এর থেকে ভালো আর কী হতে পারে। আমি নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে করি।\'
পিনাকীর মা সূপর্ণাদেবী আক্ষেপের সুরে বলেন, \'আমার ছেলেকে নিয়ে আমরা সবাই গর্বিত। কিন্তু শহরে এর কোনও প্রচার নেই। না আছে ভালো কোনও সংগঠন। অনেকের ইচ্ছে থাকলেও সেই ইচ্ছেপূরণ করা হয়ে ওঠে না। তাই আমরা চাইব যাতে আগামীতে এই খেলাকে মান্যতা দিয়ে কোনও সংগঠন গড়ে উঠুক।\'
Vaskar Chakraborty