করোনার (coronavirus) চোখ রাঙানির জেরে পর্যটকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বন্ধ করে দেওয়া হয় টয়ট্রেন (toy trains) পরিষেবা। তবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ট্রেনের লাইনগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয় জায়গায় জায়গায়। কিন্তু ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকলেও দার্জিলিং-হিমালয়ান রেলওয়ে সোসাইটি (ডিএইচআরএস) গালে হাত দিয়ে বসেনি। প্রয়োজনীয় মেরামত করে ট্রেন চালু হওয়ার অপেক্ষায় কোমর কষছিল ডিএইচআর।
advertisement
গত সোমবার থেকে চালু হয়েছিল টয়ট্রেনের (toy trains) জয় রাইড। চলত দার্জিলিং থেকে ঘুম, ফের ঘুম থেকে দার্জিলিং! তবে এবার যাত্রা হবে পুরোদমে। পুজোর আগে পর্যটনশিল্পে এক নতুন ইন্ধন জোগাবে এই সিদ্ধান্ত। দু'হাত মেলে স্বাগত জানিয়েছেন পর্যটনশিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা মানুষ। ডিএইচআর-এর ডিরেক্টর একে মিশ্রর কথায়, 'প্রতিদিন এনজেপি-দার্জিলিং ছুটবে এই ট্রেন।'
এদিকে যেমন টয়ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ায় খুশি পর্যটনশিল্প ও আধিকারিকরা, তেমন এসেছে দুশ্চিন্তা। ইউনেসকো-র হেরিটেজ তালিকায় নাম রয়েছে টয়ট্রেনের (toy trains)। দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) টয় ট্রেনের বেসরকারিকরণের ঘোষণা বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে। দুশ্চিন্তা, বেসরকারি হাতে চলে গেলে হয়ত হেরিটেজের তকমা হারাবে টয়ট্রেন। হেরিটেজ সম্পত্তি বেসরকারি কোম্পানির হাতে তুলে দিতে কোনওভাবেই রাজি নন কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও, হেরিটেজ সম্পত্তিকে বেসরকারি কোম্পানির হাতে তুলে দিতে হলে দরকার দীর্ঘ আলোচনা ও বিভিন্ন মহল থেকে অনুমতির। সেগুলো নিয়েই চিন্তায় রেল কর্তৃপক্ষ। যদিও ডিরেক্টর এবিষয়ে কিছু মন্তব্য করতে চাননি। শুধু বলেন, 'বেসরকারিকরণের বিষয়ে আপাতত কিছু জানা নেই।'
ভাস্কর চক্রবর্তী