TRENDING:

শ্রাবণে মনস্কামনা পালনে বিশেষ সবুজ চুরি পরার হিরিক, করোনা কালে ব্যবসায় মন্দা

Last Updated:

শিবের ব্রতের পাশাপাশি সবুজ চুড়ি ও নানান নকশার মেহেন্দি পড়াও কিন্তু এই শ্রাবণের আরেক প্রধান আচার।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ভাস্কর চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: শ্রাবণ মানেই বৃষ্টির কথা মনে পড়ে। কিন্তু সত্যিই শ্রাবণ মানেই অঝোর ধারা? পুরাণ থেকে বয়ে আসা সনাতন ঐতিহ্যের এক বিপুল ধারা রয়েছে শ্রাবণ মাসের সঙ্গে। হিন্দু পরম্পরায় শ্রাবণ এক পবিত্র মাস, এই মাসে কিছু আচার পালন করলে নাকি যাবতীয় মনস্কামনা পূর্ণ হয়।
advertisement

শ্রাবণ শিবের মাস হিসেবে খ্যাত। এই মাসের প্রতিটি সোমবার শিবের ব্রত ধারণ করেন লক্ষ লক্ষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী। ব্রতের উদ্দেশ্য একটাই, মনস্কামনা পূরণ। শিবমূর্তি বা লিঙ্গের প্রতি দুধ নিবেদন শ্রাবণ-শিবব্রতের অন্যতম প্রধান আচার। পাশাপাশি, সবুজ চুড়ি ও নানান নকশার মেহেন্দি পরাও কিন্তু এই শ্রাবণের আরেক প্রধান আচার।

এদিন পাহাড় থেকে শিলিগুড়িতে স্বপরিবারে কেনাকাটা করতে আসেন তানিজা থাপা। নিউজ ১৮ লোকালের ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'শ্রাবণ মানেই মহাদেব, মেহেন্দী আর সবুজ চুড়ি। সবটাই নিজের ভালোবাসার মানুষের হিতের জন্যই করা।' তানিজাদেবী বলেন, 'আমার দুই সন্তান। সেই অর্থে জানি না এই চুড়ি পড়ার মাহাত্ম্য। তবে সবাইকে দেখি পরতে। শুনেছি স্বামীর মঙ্গল হয়। তাই স্বামী ও সন্তানের মঙ্গল কামনায় কিনে পড়লাম।'

advertisement

কথিত আছে, পুরাণ অনুসারে শ্রাবণ মাসেই ঘটেছিল সমুদ্র মন্থন। মন্থনের ফলে উঠে আসা হলাহল বিষকে নিজ কণ্ঠে ধারণ করে মহাদেব সৃষ্টিকে রক্ষা করেন। হলাহলের রং ছিল নাকি গাঢ় সবুজ বর্ণের। আর এই কারণেই এই মাস মহাদেবের আরাধনার পাশাপাশি সবুজ চুড়ি ও মেহেন্দি পরার হিড়িক দেখা যায় কুমারী মেয়ে থেকে শুরু করে বিবাহিত মহিলাদের মধ্যে। কামনা একটাই, মনের সব ইচ্ছে যেন পূরণ হয়।

advertisement

অন্যদিকে, চলছে করোনা!  বাড়ছে সংক্রমণের হার। গোটা শহরজুড়েই চলছে প্রশাসনিক কড়াকড়ি। না মানলে নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে কড়া পদক্ষেপ। এরই মধ্যে চুড়ি বিক্রেতারা পড়েছে বিপাকে! নেই সেই অর্থে বিকি-কিনি। নেই আয়। তাও পেটের দায়ে বিক্রি করছে সবুজ চুড়ি।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বিজয়াতেই ঘরে ঘরে 'টিকা'র প্রস্তুতি! গোর্খাদের এই উৎসব বাঙালির খুব চেনা
আরও দেখুন

এদিকে শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ব্যবসা করছেন জুনায়েদ আলম। তাঁর রয়েছে রকমারী সাজগোজে দোকান। সিজিন আসতেই নানান রঙের চুড়ির পসড়া সাজিয়ে তুলেছেন। এদিন নিউজ ১৮ লোকালকে তিনি বলেন, 'অন্যবারের তুলনায় এবার বাজার নেই। গতবছরও একই অবস্থা। করোনা দোসর! ৫০ হাজারের মাল তুলেছি। ১০ - ১৫ হাজারের মাল বিক্রি হয়েছে। বাজারে আর দু-তিনদিন থাকবে চুড়ি, তারপরই রাখি ঢুকবে। এতটা লোকসান গুনতে হবে ভাবতেই পারিনি।'

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/Local News/
শ্রাবণে মনস্কামনা পালনে বিশেষ সবুজ চুরি পরার হিরিক, করোনা কালে ব্যবসায় মন্দা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল