এদিন বাংলাপক্ষের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কৌশিক মাইতি বলেন, \'আমরা বিভিন্ন ভূমিজ জাতিগোষ্ঠী এক হয়ে চাকরি, বাজার, পুঁজিতে অধিকারের দাবিতে লড়ব। আমরা নিজেদের মধ্যে বিভেদ করে বহিরাগতদের সুবিধা করে দেব না। বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে কেউ পা দেবেন না। বাংলা পক্ষ আগামীতে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।\'
এদিন গর্গ চট্টোপাধ্যায় চাকরি, ঠিকা, টেন্ডারে ভূমিপুত্র সংরক্ষণের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন। তিনি বলেন, \'আমরা বাংলাপক্ষ বাংলাজুড়ে বাঙালিকে এক করছি। আমরা লড়ব। জেলায় জেলায় বাংলাপক্ষ দ্রুত বাড়ছে। জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার সর্বত্র বাঙালিকে সঙ্গে নিয়ে বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করব।\'
advertisement
তিনি প্রশ্ন করেন, \'সাংসদ জন বার্লার পূর্বপুরুষ ঝাড়খন্ড থেকেই ১৫০ বছর আগে এসে পড়েছে এখন বাংলাভাগ চাইছে। মেনে নেওয়া যায়? নিশীথ প্রামাণিক ভারতীয় নাগরিক না হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হল। আমরা বাংলাপক্ষ নিশীথ প্রামাণিককে নাগরিক মানি, এটা আমাদের অবস্থান। এই নিয়মে বাংলার সব বাঙালি নাগরিক। তাই এনআরসি, সিএএ-এর কোনও প্রয়োজন নেই।\' তিনি আরও বলেন, \'বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি উত্তরবঙ্গ রাজ্য কমিটি বানিয়েছে। তাঁদের লজ্জা করে না? এটা দীর্ঘমেয়াদী ষড়যন্ত্রের অংশ।\'
অন্যদিকে, শিলিগুড়ির জেলা সম্পাদক গিরিধারী রায় শিলিগুড়ির প্রতিটা বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই বাংলাপক্ষ পথে নামবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
ভাস্কর চক্রবর্তী