দীর্ঘ বন্দিদশা কাটিয়ে আবার মুখোমুখি হয়েছেন শিক্ষক এবং পড়ুয়ারা। উৎসবের মরশুম শেষে এটাই যেন সব থেকে তাদের কাছে খুশির দিন। দীর্ঘদিন বাদে চেনা ছবি দেখতে পেয়ে ভীষণ খুশি শিক্ষক মহল। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আবার নতুন করে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। কোথাও চকলেট, কোথাও গোলাপ ফুল, কোথাও আবার চকলেট-গোলাপ-পেন দিয়ে কোভিডকালের পরে বিদ্যালয়ে স্বাগত জানানো হয়েছে পড়ুয়াদের।নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে পঠন-পাঠন। ক্লাসরুমের প্রত্যেকটি বেঞ্চে দুজন করে পড়ুয়াকে বসতে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয় চত্বরে পড়ুয়াদের মাস্ক পড়ে থাকতে হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যালয়ে ঢোকার মুখে রাখা হয়েছে স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা। প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর, বিদ্যালয় ঢোকার সময় তাদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সর্বক্ষণ উৎসাহ এবং গাইড করেছেন শিক্ষকরা।
advertisement
এ ব্যাপারে পড়ুয়ারা বলছে, বহুদিন পরে তারা স্কুলে এসেছে। অনেকদিন পরে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া, ফোন কলের পর ফের সব বন্ধুরা মিলে আবার এক জায়গায় এসেছে। চেনা মানুষদের ফের সুস্থ অবস্থায় দেখতে পেরে খুব ভালো লাগছে। পাশাপাশি শিক্ষক এবং অভিভাবকদের নির্দেশ মত করোনা বিধি মেনে তারা পঠন-পাঠন চালাবে।
তারা আরও বলছে, বিদ্যালয় চত্বরে করোনা বিধি সকলের মেনে চলা উচিত। তাহলেই সংক্রমণ কমবে এবং সবাই আবার আগের মতো স্কুলে আসতে পারবে। যদি সবাই অসাবধান হয়ে পড়ে, তাহলে আবার সংক্রমণ বাড়বে। আবার তাদের বাড়ি বসে বন্দিদশা কাটাতে হবে। ভিডিও কলের মাধ্যমে চালাতে হবে পড়াশোনা। দীর্ঘদিন পরে ব্ল্যাকবোর্ডের সামনে বসে পড়াশোনা করতে তাদের খুব ভালো লেগেছে। ভার্চুয়াল ক্লাসের থেকে সামনাসামনি ক্লাস করায়, তাদের বুঝতে অনেক সুবিধা হচ্ছে। তাই তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় আসবে। তবে লাঞ্চ টাইমে টিফিন ভাগাভাগি করে না খেতে পারার আক্ষেপ, তাদের সকলের মধ্যেই রয়েছে।
দীর্ঘদিন পরে স্কুল খোলায় খুশি শিক্ষক মহল। তারা সকলেই বলছেন, দীর্ঘদিন পরে বিদ্যালয় শুরু হয়েছে। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সূচিও ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে। এই সময় দশম, দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য এই পদক্ষেপ খুবই ফলদায়ক। তবে পড়ুয়ারা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, সেদিকে সকলকে নজর রাখতে হবে। এ বিষয়ে শিক্ষকদের পাশাপাশি, অভিভাবকদেরও বারবার সাবধান করে দিতে হবে। শিক্ষকরাও সর্বতোভাবে বিদ্যালয় চত্বরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পঠন-পাঠন চালাচ্ছেন। যতদিন না সংক্রমনের ভয় কেটে যায়, তারা এই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পঠন-পাঠন চালিয়ে যাবেন আগামী দিনগুলিতে।
নয়ন ঘোষ






