পরিবেশবিদদের কথায়, পার্থেনিয়াম গাছের আদি বাসস্থান আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকায়। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম পার্থেনিয়াম গাছের লক্ষ্য করা যায় হুগলি ডানকুনি রেল ইয়ার্ড এলাকায়। একবর্ষজীবী এই গাছ দ্রুত বংশ বিস্তার করতে সক্ষম। এই গাছের বীজ বাতাসে ভেসে বেড়ায়। ফলে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দ্রুত বেড়ে ওঠে পার্থেনিয়াম গাছ। বর্তমানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক, মেছেদা, পাঁশকুড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় জাতীয় সড়ক রাজ্য সড়ক এবং রেললাইনের ধার বরাবর এই গাছের ঝোপঝাড় লক্ষ্য করা যায়। পরিবেশবিদদের আশঙ্কায় বর্তমানে এই সব এলাকায় পার্থেনিয়াম গাছের ঝোপঝাড় এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে নিয়ন্ত্রণে আনা মুশকিল।
advertisement
পরিবেশবিদ মৌসম মজুমদার জানিয়েছেন, "বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে পার্থেনিয়াম গাছ মানুষ ও গবাদি পশুর জন্য বিষাক্ত। এই গাছের বীজ বাতাসে ভেসে বেড়ায়। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দ্রুত এই পার্থেনিয়াম গাছ বংশবিস্তার করে। এই গাছ ধ্বংসের দুটি উপায় আছে, এক জলের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে এই গাছে ছড়ালে গাছ সহজেই মারা যায়। দ্বিতীয়ত, মারা যাওয়া গাজ আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। তাহলেই এই গাছের বংশবিস্তার রোধ করা সম্ভব। কিন্তু কোনো সরকারি উদ্যোগ দেখা যায়নি পার্থেনিয়াম গাছের ঝোপঝাড় ধ্বংস করার ক্ষেত্রে। ফলে দ্রুত বাড়ছে এই গাছ বিভিন্ন এলাকায়।"
Saikat Shee