পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে এটি একটি খুনের ঘটনা বলেই। পুলিশ জানতে পারে আততায়ী এই কামরার জানলা দিয়ে বাইরে থেকে ঢুকে সুব্রতবাবুকে খুন করে। দিঘা থানার তদন্তকারী অফিসাররা এটা একটা অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা হিসেবে অভিযোগ দায়ের করে এবং তদন্তে গতি বাড়ায়। যদিও এরই মধ্যে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলো সন্দেহভাজনেরা।
advertisement
বুধবার সকালে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিউ দিঘা থেকে রামনগর থানার কাবরা গ্রামের এক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃত সেক জামিল পেশায় কাঠমিস্ত্রী বলে জানাগেছে । সূত্রের দাবি, মালিকের সঙ্গে কাজের সুবাদে দীর্ঘ ৩০ বছরের সম্পর্ক ছিল ধৃতের। টাকা পয়সা ও গয়না এবং হোটেলের দামি জিনিস পত্র চুরির উদ্দেশ্যে ওই দিন গভীর রাতে আততাতী হোটেলে ঢুকেছিলো বলে জানাযায়। হোটেলমালিক সুব্রত সরকার তাকে চিনে ফেলায় শ্বাসরোধ করে সুব্রতবাবুকে খুন করে আততায়ী, এমনটাই পুলিশসূত্রে জানাগেছে।
ধৃতকে বুধবার কাঁথি আদালতে তোলা হয়। আদালত তাকেসাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় । সূত্রের খবর জেরা করার সময় ওই হোটেল মালিককে খুনের কথা স্বীকার করেছে জামিল এবং সেজানায়যে তার সঙ্গে ওই রাতে তার সঙ্গে ছিলোআরোও দুজন। যদিও পুলিশ তদন্তের স্বার্থে ওই দুজনের নাম প্রকাশ করতে নারাজ। জেরায় আরও জানা যায় পেশায় কাঠমিস্ত্রি থাকার জন্য দীর্ঘ দিন ওই হোটেলে কাজ করেছে ধৃত এবংসেই সূত্রে মালিকের সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল তার।
Saikat Shee