পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর থানার অন্তর্গত পাঁউশি একটি ছোট্ট গ্রাম। এই গ্রামেই রয়েছে একটি অনাথ আশ্রম। যেখানে অনাথ ছেলে মেয়েদের পরম যত্নে লালন পালন করে বড় করে তোলা হয়। পড়াশোনার পাশাপাশি স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে হাতের কাজ শেখানো হয় তাদের। এই আশ্রমের এক অনাথ মেয়ে আশ্রমের চৌহদ্দি ছেড়ে পাড়ি দিল সংসার জীবনে।
advertisement
ভগবানপুরের পাঁউশি অন্ত্যদ্য অনাথ আশ্রম পরিচালিত স্নেহছায়া হােমে সােমবার ছিল খুশির দিন। হােমে বেড়ে ওঠা কন্যা ভগবান পুরের দীঘাদাঁড়ি গ্রামের অর্চনা বারুই। জন্মের পর আত্মজনরা অনাথ আশ্রমে দেওয়ায়, ঘরে ফেরা হয়নি তার। আশ্রমের স্নেহচ্ছায়ায় নবজন্ম হয় অর্চনার। ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে সুদক্ষ বুটিক শিল্পী। এদিকে বয়স ১৮ বছর পার হওয়ার পর দুশ্চিন্তা ক্রমশ বাড়ছিল আশ্রমের কর্ণধার বলরাম করনের। অনেক খোঁজাখুঁজির পর এক সুপাত্রের সন্ধান পাওয়া গেল যে হােমের এই অসহায় মেয়েটিকে জীবনসঙ্গিনী করতে প্রস্তুত। পাঁউশি গ্রামের লেদ কারখানার শ্রমিক গোপাল জীবন সঙ্গিনী হিসাবে অর্চনার হাত ধরতে প্রস্তুত। আশ্রম জুড়ে বেজে উঠলাে খুশির বাজনা।
একে একে অনেক আশ্রম পালিতা অনাথ মেয়েকেই তাে সুখী গৃহকোণের ঠিকানা খুঁজে দিলেন বলরামকরণ। এবার আরও একজন। ১৬ আগস্ট দিন স্থির হল। সীমিত সাধ্যে বেনারসি শাড়ি আর সামান্য কিছু গয়নায় সেজে উঠল অর্চনা। ওদের নতুন সংসার পাতার জন্য খাট বিছানা আলমারি ও অন্যান্য দান সামগ্রী, আইবুড়ােভাত থেকে গায়ে হলুদ, জামাই বরণ ও আশ্রমবাসীদের একটু ভালাে খাওয়া - দাওয়া কোন কিছুই বাদ পড়ল না। আশ্রম পালিত অনাথ অর্চনা খুঁজে পেল নতুন জীবনের ঠিকানা।
Saikat Shee