হলদিয়ার দেভোগ পূর্ব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা (Teacher) ইন্দ্রানী প্রধান মণ্ডল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস এর বিষয়ভিত্তিক পঠন-পাঠনের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের শৃঙ্খলা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক বিষয় শিক্ষাদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে দীর্ঘদিনই। বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা মানসিক ও বৌদ্ধিক দুই দিক দিয়েই উন্নত স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের শিক্ষায়। স্কুলের আভ্যন্তরীণ পরিবেশনায় বাহ্যিক পরিবেশ পরিছন্নতা সচেতনতাই অভ্যাস গড়ে তোলার কাজে ইন্দ্রানী দেবী সচেষ্ট বরাবরই।
advertisement
বিদ্যালয় চত্বরে প্লাস্টিক বর্জন চারা গাছ রোপন ও পরিচর্যা করার অভ্যাস পড়ুয়াদের মধ্যে বছরের পর বছর গড়ে তুলতে বরাবরই অগ্রণী ভূমিকায়। পড়ুয়াদের মধ্যে সামাজিক অভ্যাস, যেমন নিজেদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, খাওয়ার আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া প্রভৃতি বিষয় ইন্দ্রানী প্রধান মন্ডলের নজরদারি পড়ুয়াদের আরও সমাজবদ্ধ হতে সাহায্য করেছে। উন্নতি হয়েছে তাদের আচার-আচরণের। ছাত্রছাত্রীদের (Students) শৃঙ্খলা ও তেজদীপ্ত করার লক্ষ্যে ব্রতচারী প্রশিক্ষণ দেওয়া সবেতেই ইন্দ্রানী দেবী ও তার সহকারী শিক্ষক শিক্ষিকারা সচেষ্ট। ছাত্র-ছাত্রীদের সংস্কৃতিমনস্ক করে তোলার লক্ষ্যে নাচ গান আবৃত্তির প্রশিক্ষণ দেয়া হয় দেভোগ পূর্ব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শুধু এই নয় শিক্ষাকে আরও ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ডিজিটাল ক্লাসরুম চালু করা ইন্দ্রানী প্রধান মণ্ডলকে শিক্ষারত্ন পেতে সাহায্য করেছে।
বিদ্যালয় পাঠক্রমে শিক্ষা ছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যান্য বিষয়ে শিক্ষিত করে তোলার অগ্রণী ভূমিকা পালনে ২০২১ সালে পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Midnapore) জেলার একমাত্র শিক্ষারত্ন সম্মান পেলেন ইন্দ্রানী প্রধান মণ্ডল। এর আগেও স্কুলের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য ২০১৭ সালে দেভোগ পূর্ব পাথমিক বিদ্যালয় পায় 'নির্মল বিদ্যালয়' পুরস্কার। পড়াশোনার মান ও সামগ্রিক কারণে ২০১৮ সালে 'বেস্ট পারফর্মিং স্কুল' খেতাব পায় এই বিদ্যালয়।
ছাত্র-ছাত্রীদের বৌদ্ধিক ও সামাজিক বিকাশে অবদানের জন্য দেভোগ পূর্ব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রানী প্রধান মণ্ডল ২০১৯ সালে পান "শিশুমিত্র' পুরস্কার। এবার ২০২১ -এ তিনি সম্মানিত হলেন রাজ্যের শিক্ষারত্ন সম্মানে। ইন্দ্রানী দেবীর শিক্ষার সম্মানে আপ্লুত হলদিয়াবাসী। শিক্ষারত্ন সম্মান পেয়ে ইন্দ্রানী দেবী বলেন, " শিক্ষারত্ন সম্মান পেয়ে আমি আপ্লুত, এই সম্মানে আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। ২২ বছর শিক্ষকতা জীবনে অনেকের কাছ থেকে নানাভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আমার সহকর্মীরা ও আমার বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকেরা পাশে না দাঁড়ালে এই সম্মান পাওয়া হতো না। ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শৃঙ্খলাবোধ, সংস্কৃতি ও সামাজিক মানোন্নয়নের কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো আজীবন।"
Saikat Shee