পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিভিন্ন জেলার বালি মাফিয়াদের (illegal trafficking of sand )অবাধ বালি চুরি বন্ধ করতে বালি খাদানের নিলাম জেলা প্রশাসনের হাত থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার বালি খাদানগুলির নিলামের জন্য মাইন অ্যান্ড মিনালে কর্পোরেশন- এর হাতে তুলে দিয়েছে। বালি খাদান নিলামে রাজ্যজুড়ে চালু হয়েছে ই-নিলাম পদ্ধতি।
ই-নিলাম পদ্ধতি চালু করলেও বন্ধ করা যায়নি বালিচুরি(illegal trafficking of sand )। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটে রূপনারায়ণ নদ থেকে লুট হচ্ছে বালি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ কার্যত পুলিশের নাকের ডগায় অবাধে রমরমিয়ে কারবার চালাচ্ছে বালি মাফিয়ারা। আর এভাবে অবাধ ক্রমাগত বালি তুলে নেওয়ায় আলগা হয়ে যাচ্ছে শরৎ সেতুর ভিত। কোলাঘাট এলাকায় রূপনারায়ণ নদের ভাঙ্গন তীব্র। প্রতিবছরই নদী তীরবর্তী এলাকা হারিয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে।
advertisement
পঞ্চায়েত এলাকা হলেও রূপনারায়ন তীরবর্তী কোলাঘাট স্থানীয়দের কাছে শহর বলেই পরিচিত। গত কয়েক বছরে রূপনারায়ণ নদের ভাঙনে জেরবার কোলাঘাটের রূপনারায়ণ নদের তীরের বাসিন্দারা । ভাঙন নিয়ে যখন চিন্তিত এলাকাবাসী। তখন নদের বুকে চলছে দেদার বালি চুলি। স্থানীয়দের অভিযােগ, শরৎ সেতুর নীচ থেকে শুরু করে কোলাঘাট নেতাজি মূর্তি পর্যন্ত প্রায় আধ কিলােমিটার এলাকা জুড়ে বালি চুরি চলছে। স্থানীয় সূত্রে খবর , বালি তােলার(illegal trafficking of sand ) জন্য এলাকায় কমপক্ষে ৮৫ টি ছােট - বড় নৌকা কাজ করে।
কোলাঘাটের নগুরিয়া, হাওড়ার নসিতপুর প্রভৃতি এলাকা থেকে আসে নৌকাগুলি। নদ থেকে বালি তুলে তা মজুত করা হয় নদের পাড়ে। স্থানীয় কয়েকজন আড়তদার ওই বালি নৌকার মালিকের কাছ থেকে বালি কিনে। বালির পরিমান অনুযায়ী এক নৌকা বালি ১২০০ থেকে ২০০০ টাকায় আড়তদারদের বিক্রি করা হয়। এক একটি নৌকা দিনে অন্তত দুবার বালি তুলে আনে। সরকারি অনুমতি ছাড়াই নদের বুক থেকে এভাবে বালি তােলায় সরকারের রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযােগ।
বর্ষাকালে এভাবে নদের বুকে বালি(illegal trafficking of sand ) তোলায় এলাকায় জলের স্রোত বাড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। কয়েক বছর আগে এলাকায় নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। তা সত্ত্বেও পুলিশ প্রশাসনের নজরদারির অভাবে রূপনারায়ণ নদে বর্ষাকালে অবাধে চলছে বালি তোলার কাজ।
Saikat Shee