সেচ দফতর ও পর্ষদ যৌথভাবে এরজন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে। উল্লেখ্য, ইয়াসের জলোচ্ছ্বাস ও নিম্নচাপের বৃষ্টির জমা জলে শিল্পশহরে বেশ কিছু এলাকা প্রায় এক সপ্তাহ ধরে জলে ডুবে ছিল। সেই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তার জন্যই মাস্টার প্ল্যান (East Medinpur News)। শহর সংলগ্ন হোড়খালি খাল, আনন্দখালি খাল, এড়িয়াখালি খাল সহ একাধিক খাল রয়েছে। খালগুলি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বেশিরভাগ অংশই মজে গিয়েছে।
advertisement
এছাড়া হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস সংলগ্ন গ্রিন ক্যানেল দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় কারখানার নির্গত জল মাঝে মধ্যেই উপচে পড়ে এলাকায় ঢুকছে। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে দেভোগ তেলের কারখানা রয়েছে। এই কারখানাগুলি থেকে নির্গত বজ্য জল এইচ পি এল লিংক রোড সংলগ্ন এলাকায় পড়ে থাকছে। প্রায় ৪ কোটি টাকা খরচ করে সংস্কার করা হয়েছিল পাতিখালি সংলগ্ন গ্রিন চ্যানেল। একাধিক কারখানার জল গ্রিন চ্যানেলের মাধ্যমে হুগলি নদীতে পড়ে। কিন্তু গ্রিন চ্যানেল ঠিকমতো সংস্কার না হওয়ায় নিকাশি সমস্যা থেকে মুক্তি মেলেনি এলাকাবাসীর (East Medinpur News)।
ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ ও সেচ দফতরের বৈঠক হয়েছে। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে সেচ দফতরের কাছে নিকাশি সমস্যা সমাধানের জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান চাওয়া হয়েছে। সেচ দফতরের তরফে হলদিয়া সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করে একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। খালের দুপাশে অবৈধ নির্মানের কারণে খালের খাল ক্রমশ সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে। সেচ দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অনির্বান ভট্টাচার্য জানান, ''হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের কাছে মাস্টার প্ল্যান চাওয়া হয়েছিল। তা তৈরি হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়।'' হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি জ্যোতির্ময় করা জানান, ''হলদিয়ায় নিকাশি সমস্যা সমাধানের জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে। সেচ দফতরকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।''
Saikat Shee