অগ্নিকাণ্ডের জেরে স্কুলে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। প্রতিটি ক্লাসের সমস্ত শিশু পড়ুয়াদের তৎক্ষণাৎ স্কুল বিল্ডিংয়ের বাইরে বের করে দেওয়া হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন কাঁথি পুরসভার কাউন্সিলর দেবাশীষ পাহাড়ি সহ নেতৃত্বরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁথি থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় দমকলকে। কাঁথি পুরসভার কাউন্সিলর দেবাশীষ পাহাড়ির সহযোগিতায় স্কুলের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে আগুন প্রাথমিক ভাবে নিয়ন্ত্রণে আসে। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
advertisement
স্কুল সূত্রে জানা যায়, স্কুলে পঠন পাঠন চলাকালীন হঠাৎই তীব্র আলো দেখতে পাওয়া যায় এবং সেই সঙ্গে পোড়া গন্ধ। স্কুলে আগুন লেগেছে বুঝতে পেরে শিক্ষক শিক্ষিকারা ছাত্র ছাত্রীদের স্কুল বিল্ডিংয়ের বাইরে নিয়ে আসে। মুহূর্তের মধ্যে স্কুলে আগুন লাগার ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে। স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা চিৎকার শুরু করে। শিক্ষিকা থেকে শিক্ষকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ছাত্র ছাত্রীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবক এসে শিশুদের বাড়ি নিয়ে যান। পরে স্কুল ছুটি দেওয়া হয়। বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ড বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান(East Medinipur News)।
স্কুলে আগুন লাগার ঘটনায় কাঁথি পুরসভার কাউন্সিলর দেবাশীষ পাহাড়ি বলেন, "পুরসভায় এসে স্কুলে আগুন লাগার বিষয়ে জানতে পারি। সঙ্গে সঙ্গে স্কুলে ছুটে যাই। স্কুলের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। ঈশ্বরের কৃপায় কোন শিশু আহত হয়নি। দমকল আসার আগেই কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা হয় আগুন। দমকলের একটা ইঞ্জিন এসে আগুণ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে।" স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র অঞ্জন ধাড়া বলে, "আমি স্কুলে ক্লাসে বসে লিখছিলাম। হঠাৎ করে আলো দেখতে পাই। স্কুলের শিক্ষিকারা বললেন আগুন লেগে গেছে। আমরা তখন ক্লাস থেকে বেরিয়ে পড়ি।" শহরের বুকে ঐতিহ্যশালী বেসরকারি স্কুলে আগুন লাগার ঘটনায় স্কুলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
Saikat Shee