একদিকে নন্দকুমার ব্লক, অন্যদিকে ময়না ব্লক। এই দুই ব্লকের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে কংসাবতী নদী (Kangsabati river)। দুই ব্লকের মানুষের প্রতিদিনের যাতায়াতের জন্য বাঁশের তৈরি সেতু একমাত্র ভরসা। কিন্তু প্রতিবছর বর্ষাকালে সেই ব্রিজ জলের তোড়ে ভেঙে যায়। ফলে বাধ্য হয়ে মানুষ নৌকাতেই পারাপার করে। আর নৌকাতেই কয়েক বার দুর্ঘটনা (Accident) ঘটে যাওয়ায় ব্রিজ নির্মাণের দাবি তোলে ব্রিজ নির্মাণ নাগরিক কমিটি। নন্দকুমার এর পুরষাঘাটে ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে বারবার সোচ্চার হয়েছে নাগরিক কমিটি।
advertisement
আরও পড়ুনসামান্য বাড়ল সংক্রমণ, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা সংক্রামিত ১২৮ জন এবং সুস্থ ১০৪ জন
বিজয়া দশমীর দিন আবারও বড় সড় দুর্ঘটনার (Accident) হাত থেকে রক্ষা পেল পুরষাঘাট বাসী (South Bengal)। দশমীর রাতে পুজো দেখে ফেরার সময় কংসাবতী নদী পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। নৌকা থেকে পড়ে যায় দু’বছরের শিশু সহ কয়েকজন যাত্রী। নৌকার মাঝি ও অন্যান্য যাত্রীদের তৎপরতায় বড়োসড়ো দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। এরপরই প্রতিবাদে সামিল হন ব্রিজ নির্মাণ নাগরিক কমিটি। অবিলম্বে ব্রিজ নির্মাণ করার দাবিতে সরব হন কমিটির সদস্যগণ। পুরষাঘাটে ব্রীজ নির্মাণের দাবিতে ২০১৯ সালে এলাকার মানুষজন গড়ে তোলেন পুরষাঘাট ব্রীজ নির্মাণ নাগরিক কমিটি। তারপর থেকে জেলা শাসক, পূর্ত দপ্তর সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের অভিযোগ প্রশাসনের টনক নড়েনি।
ইতিপূর্বে ২০০০ সালে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে (accident on boat)। গৌরাঙ্গ মাইতি নামে কিশোরচক গ্রামের এক যুবক মারা যান। সারা বছর দুর্বল বাঁশের সেতু দিয়ে যাতায়াত করলেও বর্ষাকালে তিন চার মাস সেতু ভেঙে যায়। ফলে নৌকাতে পারাপার করতে হয় এবং তাতেই প্রায়ই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। এবছর বিজয়া দশমীর রাতে ঠাকুর দেখে ফেরার পথে নদী পারাপারের সময় নৌকা দুর্ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনার পর আবারও ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে এলাকাবাসীসহ ব্রিজ নির্মাণ নাগরিক কমিটি।
আরও পড়ুন ৫১ সতীপীঠ স্মরণে ত্রয়োদশীতে কঙ্কালীতলায় ৫১ কুমারী পুজো
প্রসঙ্গত এই নদী পারাপার করে প্রতিদিন ময়নার দিক থেকে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন জেলা সদর দপ্তর নিমতৌড়ি, তমলুক ও কলকাতা সহ বিভিন্ন এলাকায়। এই পথ ধরে বহু মানুষ সরাসরি অত্যন্ত কম সময়ে ভগবানপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় যেতে পারেন। তাই ব্রিজ অত্যন্ত জরুরী প্রয়োজন। নদীর পাড়ে প্রতীকী বিক্ষোভে সামিল হয়ে কমিটির সদস্যরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। উপস্থিত ছিলেন কমিটির অন্যতম সদস্য শিক্ষক বাসুদেব দাস, অমিত কুমার দাস, রামচন্দ্র ভৌমিক আদিত্য গাঁতাইত প্রমুখ।