গতবার প্রায় দুই লক্ষ ঊনষাট হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছিল। ধান উৎপাদন হয়েছিল দশ লক্ষ ছত্রিশ হাজার মেট্রিক টন। এবার এমনিতেই চৌদ্দ হেক্টর জমিতে আমন ধান কম চাষ হয়েছিল। এবার দু লক্ষ পঁয়তাল্লিশ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছিল। তারমধ্যে ৭৬ শতাংশ জমি অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে জলের তলায়। তাই ধান উৎপাদন অনেকটাই কম হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেলা কৃষি দপ্তর থেকে আশা করা হচ্ছে এবার প্রায় ছয় লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। যা গতবারের তুলনায় অনেক কম। ধানের বর্তমান মূল্য এক হাজার ছশো আশি টাকা প্রতি কুইন্টাল। এই জেলাজুড়ে ধানচাষ অনেকটাই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।
advertisement
গত দু’দিন আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হলেও শনিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মেঘের আড়ালে মুখ ঢেকেছে আকাশ। কোথাও কোথাও শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। অতিভারী বৃষ্টিপাতের খবরে ইতিমধ্যে আতংকের প্রহর গুণছেন পটাশপুর, ভগবানপুর, এগরা, চন্ডীপুরের বিস্তীর্ণ বানভাসি এলাকার লক্ষাধিক মানুষ। এই এলাকাগুলি বেশ কয়েকদিন ধরেই কেলেঘাইয়ের জলে ডুবে রয়েছে। তারওপর আবার মাথার ওপর ঝুলছে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। এর জেরে চূড়ান্ত উদ্বিগ্ন এলাকাবাসীরা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপ কৃষি অধিকর্তার আশুতোষ মন্ডল জানিয়েছেন, "বৃষ্টির জল ও নদী ভেঙ্গে বন্যার কারণে জেলার প্রতিটি ব্লকেই ধান চাষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পটাশপুর ও ভগবানপুর এক নম্বর ব্লক। ধান গাছ পচতে শুরু করেছে। জল কমলে ধান চাষে আরও বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরপর আবার ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা। তাতে ধান চাষের আরও ক্ষতি হবে।"
সৈকত শী