১৯৮৪ সালে তৈরি কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় জল সরবরাহের জন্য কোলাঘাট ব্লকের দেনান এলাকায় রূপনারায়ণ নদের ধারে একটি পাম্প হাউস বানানো হয়েছিল (East Medinipur News)। ইনট্যাক্ট পাম্প হাউসের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন মেশিন নদের জল তুলে তা মেদিনীপুর ক্যানালে ফেলা হয়, ক্যানাল থেকে জল চলে যায় প্ল্যান্টে। এদিকে রূপনারায়ণ নদের নাব্যতা কমে যাওয়ায় ১২ বছর আগে পাম্প হাউস সংলগ্ন নদের অংশে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ নিয়মিত ড্রেজিং করাতে শুরু করে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা ও প্রতিরোধ কমিটির অভিযোগ, এক দশক ধরে ড্রেজিংয়ের পলি, বালি ও মাটি ফেলা হচ্ছে রূপনারায়ণ নদের মাঝে। এর ফলে পাম্প হাউসের বিপরীতে রূপনারায়ণ নদে একটি চর তৈরি হয়েছে বলে দাবি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা ও ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির।
advertisement
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা ও ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়নচন্দ্র নায়কের দাবি, 'তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাম্প হাউসের ড্রেজিংয়ের মাটি রূপনারায়ণ নদে ফেলার কারণেই পূর্ব দিকে একটি চর তৈরি হয়েছে। ওই চরের জন্য রূপনারায়ণ নদের স্বাভাবিক গতিপথ পরিবর্তন করে কোলাঘাটের দিকে ক্রমশ এগিয়ে আসছে। চর অপসারনের পাশাপাশি পাম্প হাউসের ড্রেজিংয়ের মাটি ডাঙায় না ফেলা হলে ভাঙন বাড়বে এবং কোলাঘাট শহরকে রক্ষা করা যাবে না।" এবিষয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা ভাঙন প্রতিরোধ কমিটি।
সম্প্রতি কোলাঘাটের একাধিক জায়গায় ক্রমশ ধস নামছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কোলাঘাট ব্লকের দেনান গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ইনট্যাক্ট পাম্প হাউসের তাদুরে প্রায় দেড়শো মিটার বাঁধ রূপনারায়ণ গর্ভে তলিয়েও যায়(East Medinipur News)। বন্যা ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির অভিযোগ প্রসঙ্গে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার অপু মজুমদার জানান , ড্রেজিংয়ের পলি মাটি ইত্যাদি নদীর জলেই ফেলার নিয়ম। এর জন্য নদী গর্ভে চর তৈরি হওয়ার কথা নয়।
Saikat Shee