কোলাঘাট (kolaghat) শরৎ সেতু এলাকা, স্টেশন চত্বর, বাবুয়া ও বড়িশা গ্রাম এলাকায় ক্রমশ বাড়ছে মাদক দ্রব্য বিক্রি। যুব সমাজ ক্রমশই আকৃষ্ট হচ্ছে নেশার প্রতি। এলাকায় বাড়ছে অপরাধের সংখ্যা, পাশাপাশি বাড়ির মহিলারাও হচ্ছে অত্যাচারের শিকার। বড়িশা গ্রামের মহিলাদের কথায় মদের নেশায় ভেসে যাচ্ছে সংসার ভেসে যাচ্ছে সংসার। প্রতিবাদ করলেই ঘরে জুটছে মারধোর। নেশার টাকা জোগাড়ে বাধা পড়ছে সোনার গহনা থেকে অন্যান্য জিনিসপত্র। কিন্তু বাড়িতে বুঝিয়ে বলে কয়ে লাভ হয়নি। পিঠ ঠেকেছে দেওয়ালে। তাই প্রতিবাদে সোজা হাজির আবগারি দপ্তরে।
advertisement
পূর্ব মেদিনীপুরের (purba midnapore) কোলাঘাটের বিভিন্ন এলাকায় রাত নামলেই মদের আসর। অবৈধ মাদক কারবারীদের রমরমা। এলাকার মহিলা সহ স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনকে জানিয়েও কোন ফল মেলেনি। তাই বিষয়টি আবগারী দপ্তরকে কড়া নজরে বিষয়টি দেখার আবেদন জানিয়ে মাদক বিরোধী নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে কোলাঘাট আবগারী দপ্তরের অফিসে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়।
কোলাঘাট (kolaghat)শরৎ সেতু ব্যবসায়ী সমিতি ও কোলাঘাট স্টেশন বাজার ব্যবসায়ী সমিতি এবং কোলাঘাট মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে কোলাঘাট আবগারি দপ্তর মাদক বিরোধীতায় প্রতিবাদ জানায় ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়। কোলাঘাট শরৎ সেতু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বলেন, " করোনার কালে এমনিতেই নিত্য অভাব। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। রোজগার পাতি বন্ধ। সেখানে মদের নেশায় আরও ডুবে যাচ্ছে সংসার। এলাকায় সন্ধ্যে নামলেই মদ, গাঁজা হেরোইন সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যের বিক্রির আসর বসে। এলাকায় বেড়েছে দুষ্কৃতিকারীদের আনাগোনা, বেড়েছে অপরাধের সংখ্যা। শুধু তাই নয় পরিবারে নিত্য অশান্তি, এমনকি মহিলারাও নির্যাতিত হচ্ছে এই মদের কারণে। প্রশাসনকে বারবার জানিও কোন সুরাহা হয়নি।'
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কিছুদিন আগে কোলাঘাট রেলব্রিজের নিচের বাজার এলাকায় সন্ধ্যেবেলায় অবৈধ মদের আসরে পুলিশি অভিযান চালায়। ভেঙে দেওয়া হয় ওই মদের আসর। বাজেয়াপ্ত করা হয় অনেক বেআইনি মদের বোতল। গ্রেপ্তার করা হয় মদের আসরের মালিক সহ বেশকিছু জনকে। কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রচ্ছন্ন পুলিশি (police) মদতে কোলাঘাটের বেশকিছু জায়গায় সন্ধ্যে নামলেই রমরমিয়ে চলছে মদের আসর।
Saikat Shee