স্থানীয় বাসিন্দা মিনতি হাজরা জানান, "তাঁর রেশন কার্ড থাকা সত্ত্বেও রেশন সামগ্রী পাননা। ডিলার তাকে সাফ জানিয়েছেন এই কার্ডে মাল নেই।" আর এক বাসিন্দা কাকলী ঘোষ জানান, " যখন যেমন ইচ্ছে ওই ডিলার রেশন সামগ্রী দেন। আমার পাওনা আট কেজি চাল ১২ কেজি গম। কিন্তু সব সময় এই পরিমাণে জিনিস পাই না। করোনার সময় ঠিকমত খেতে পাচ্ছি না তার উপর যদি এভাবে জিনিস কম দেয় কি করে খাবো আমরা।"
advertisement
এদিকে খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে যান খাদ্য দপ্তরের আধিকারিক দয়াময় গোস্বামী।তিনি জানান, ভাতার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলছে উনি যদি সত্যিই অপরাধ করে থাকেন তাহলে উনি নিশ্চয়ই শাস্তি পাবেন। অন্যদিকে, ডিলারের স্ত্রী বনশ্রী মুখার্জী জানান, আমার স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে উনি রেশন সামগ্রী বিক্রি করেননি। গ্রামে সাধারণ মানুষের কাছে এডিশনের সামগ্রী তিনি কিনেছিলেন সেটাই বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন।
উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে বাম আমলে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল পূর্ব বর্ধমানে। জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় রেশন দুর্নীতি নিয়ে আন্দোলন শুরু হয় সেই আন্দোলনের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। যা তৎকালীন সরকারের পতনের এক অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই ঘটনাকে উস্কে দিয়ে ফের পূর্ব বর্ধমানে মাথাচাড়া দিচ্ছে রেশন দুর্নীতি।
Malobika Biswas