জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের ১৪ জুন সালার স্টেশন থেকে মোটরবাইকে বাড়ি ফেরার সময় দুষ্কৃতীদের আক্রমণে খুন হন কেতুগ্রামের আনখোনা গ্রামের বাসিন্দা, রেলের ঠিকা কর্মী সুকুমার মিস্ত্রি। সুকুমার বাবুর স্ত্রী চিত্রা মিস্ত্রির অভিযোগের ভিত্তিতে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করে (East Bardhaman News)। এরপর তিনজনকে গ্রেফতার করে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, খুনের ঘটনার দিন, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ সালার-আনখোনা রাস্তার ইছাপুরের বাঁকের কাছে সুকুমার বাবুর মোটরবাইক আটকায় দুষ্কৃতীর দল। হামলা চালানো হয়। মোটরবাইকে বসে থাকা সুকুমার মিস্ত্রিকে লোহার রড দিয়ে ঘাড়ে ও মাথায় আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। সঙ্গী কৃষ্ণ গোপাল সরকারকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে এবং বাইক চালক অসীম পাত্রকে দুষ্কৃতীরা মারধোর করে। তিনজনেই মোটরবাইক সহ রাস্তায় পড়ে গেলে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়।
advertisement
অসীম পাত্র ফোন করে বাড়িতে খবর দিলে গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থল থেকে সুকুমার মিস্ত্রি ও কৃষ্ণগোপাল সরকারকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর হাসপাতালের চিকিৎসক সুকুমার মিস্ত্রিকে মৃত ঘোষণা করেন (East Bardhaman News)। প্রথমে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জন্য খুন মনে হলেও পুলিশি তদন্তের পরে জানা যায় ছিনতাইয়ের উদ্যেশে আক্রমণ করে খুন করা হয়েছিল সুকুমার মিস্ত্রিকে। পুলিশ সূত্রে আরও খবর, তিনজন অভিযুক্তের বাড়ি ঘটনাস্থলের কাছেই মহুলা গ্রামে। তিনজনেই মুম্বইয়ে বেকারি কারখানার শ্রমিক ছিল। অভিযুক্তদের দাবি, "আমরা নির্দোষ। মুম্বই থেকে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে। মিথ্যে দোষ চাপানো হচ্ছে। আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।"
Malobika Biswas