আচমকা এদিন গৃহকর্তা অলোক পাল লক্ষ্য করেন বাড়িতে(Bardhaman News) শিয়াল। তিনিই তড়িঘড়ি খবর দেন পশুপ্রেমী সংস্থা সোসাইটি ফর অ্যানিমাল ওয়েলফেয়ারকে। খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ছুটে আসেন সংস্থার সদস্যরা।
সংস্থার সদস্য অর্ণব দাস জানান, আচমকা দেখে শিয়াল মনে করলেও, এগুলো আসলে গন্ধগোকুল (civet)। খাবারের খোঁজে এরা প্রায়ই লোকালয় চলে আসে। একটি পূর্ন বয়স্ক মা গন্ধগোকুলের (civet) সঙ্গে সদ্য হওয়া চারটি বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছে। আবহাওয়ার কারণে নিশ্চিন্ত কোনো আস্তানা খুঁজে বাচ্চাদের নিয়ে থাকার জন্যই হয়তো এই এলাকায় চলে এসেছিল মা গন্ধগোকুল। সব রকমের খাবার এই গন্ধগোকুল খায়। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে মা ও বাচ্চাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো কাজ করা হবে। বাচ্চাগুলো একটু বড় হলেই ফের তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
advertisement
উল্লেখ্য, গন্ধগোকুল বর্তমানে অরক্ষিত প্রাণী হিসেবে বিবেচিত (Bardhaman News)। পুরোনো গাছ, বন-জঙ্গল কমে যাওয়ায় বর্তমানে এদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রজাতির গন্ধগোকুলের বাস বলে জানা গিয়েছে। এরা মাঝারি আকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী। নাকের আগা থেকে লেজের ডগা পর্যন্ত ৯২-১১২ সেন্টিমিটার, এর মধ্যে লেজই ৪৪-৫৩ সেন্টিমিটার। লেজের দৈর্ঘ্য ৪৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। আকার হতে পারে ৫৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত। ওজন ২.৪-৫.০ কেজি হয় সাধারণত। গন্ধগোকুলের দেহটি স্থূল ও রুক্ষ বাদামি-ধূসর বা কালো লোমে ঢাকা থাকে। গন্ধগোকুল নিশাচর প্রাণী। এরা মানুষের বেশি কাছাকাছি থাকে।
Malobika Biswas