বুধবার ভোর পৌনে তিন'টে নাগাদ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের তিন নম্বর বয়েজ হস্টেল থেকে পড়ে মৃত্যু হয় শেখ মোবারক হোসেনের। ছাত্ররা আওয়াজ পেয়ে উদ্ধার করে তাঁকে। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান তিনি। খবর দেওয়া হয় পরিবারের সদস্যদের। ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের সদস্যরা।
তাঁদের দাবি, আঘাত রয়েছে দেহে। পারিবারিক কোনও অশান্তি ছিল না। ফলে এটা আত্মহত্যা নয়। তাঁদের মনে হচ্ছে মোবারককে খুন করা হয়েছে। এই দাবিতে এই অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। মৃত হাউসস্টাফ শেখ মোবারক হোসেনের বাবা শেখ হাফিজুল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
advertisement
ফরেন্সিক দলের সদস্য ডক্টর চিত্রাক সরকার জানান, "তদন্ত চলছে, অনেক কিছু স্টাডি করতে হবে। এবং পোস্টম্যটমের রিপোর্ট দেখতে হবে। এখনই কিছু বলা যাবে না।"
পুলিশ সূত্রে খবর, হস্টেলের আবাসিক ও অন্য হাউসস্টাফদের সঙ্গে কথা বলে দেখা হচ্ছে। তবে কাউকে আটক করা হয়নি এখনও।
পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটের বাসিন্দা শেখ মোবারক হোসেন। এ মাসের ১৫ আগস্ট কাউন্সেলিং এর পর হাউসস্টাফ হিসেবে জয়নিং করার কথা ছিল মোবারকের। সব কিছু ঠিক থাকলে খুব তাড়াতাড়ি কাজে যোগ দিতে পারতেন তিনি। তবে সে সব আর কিছুই হবে না। কার্যত বাক্যহীন পরিবার। অন্যদিকে মোবারক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে বলে দাবি প্রতিবেশীদের।