সেই মতো এবছরও শাড়ি গহনা উঠল নিলামে(sarbamangala temple)। বেনারসি, তাঁত, সিল্ক, ছাপা শাড়ি সহ বিভিন্ন সোনা ও রূপার টিপ, নথ, মাথার মুকুট সহ একাধিক সামগ্রী নিলামে বিক্রি করা হয় এদিন। প্রায় ৪০০ জন নিলামে অংশ নেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও করোনা বিধি মেনেই সকলে এদিন দানের সামগ্রী কেনেন। নিলামের সংগৃহীত অর্থ যাবে মন্দির উন্নয়নের খাতে বলে জানান ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা।
advertisement
সর্বমঙ্গলা (sarbamangala temple) মন্দির ট্রাস্টিবোর্ডের সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ জানান, "প্রথমদিন শাড়ি ও অন্যান্য বস্ত্রসামগ্রী নিলাম করা হয়েছে। পরের দিন গহনা নিলামের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবছর দু দিন ব্যাপী নিলামের অনুষ্ঠান হয়। করোনা আবহে মানুষের ভিড় এড়াতে দিনের কর্মসূচী পালন করা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথেষ্ট সহযোগীতা মিলেছে। নিরাপত্তার দিকটা নজরে রেখেছিল প্রশাসন। তার জন্য খুবই কৃতজ্ঞ আমরা। করোনা বিধি মেনেই সধারণ মানুষকে মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করানো হয়েছে। নিলাম থেকে সংগৃহীত অর্থ মন্দিরের উন্নয়ন ও পুজোর খাতে ব্যবহার করা হবে।"
সহেলী নন্দী নামে এক ক্রেতা বলেন, " আমি শাড়ি কিনতে এসেছি। প্রতি বছরই আসি, এবছরও এলাম। ভালো লাগে দানের জিনিস কিনে নিয়ে যেতে। বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ঠাকুর ঘরে রেখে দিই। আমি মনে করি ওটাই মা এর আশীর্বাদ।"
রাজ আমলের এই মন্দিরের (sarbamangala temple) সৌন্দর্যায়নে বিশেষ নজর দিয়েছে সরকার। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পর্যটন বিভাগের তরফেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ট্রাস্টি বোর্ডও কাজ করছে মন্দিরের উন্নয়নের জন্য। এসবের মধ্যেই নিলাম থেকে প্রতি বছরই আসে মোটা অংকের অর্থ। যা স্বাভাবিক ভাবেই মন্দির উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেয়। এতে খুশি হন মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা। পাশাপাশি মন্দির উন্নয়ন দেখে খুশি হন
বর্ধমান বাসীও।
Malobika Biswas