স্বাস্থ্য সাথী থেকে পাওয়া যাচ্ছে না পরিষেবা। কাশিমপুর অঞ্চলের দেবীপুর এলাকার দুর্ঘটনায় আহত হন এক মহিলা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাছে আবেদন, তিনি যেন এই পরিবারকে সাহায্য করেন চিকিৎসার জন্য। গত ২৬ অক্টোবর নেতাজি পল্লী এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে কৃষ্ণা হালদার বয়স ৩৯ বছর, সাইকেল করে কাজে যাচ্ছিলেন। সেই পিছন থেকে আসা একটি দশ চাকার গাড়ি তাকে ধাক্কা মারে। গুরুতর আহত হয় কৃষ্ণা দেবী। তার কোমরে চোট লাগে। এরপর প্রথমে তাকে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করে কলকাতা এস এস কে এম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে সবকিছু দেখার পর অপারেশন করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক।
advertisement
কিন্তু বেডের অভাবে তাকে হাসপাতালে রাখা সম্ভব হয়নি। তারপর পরিবারের তরফ থেকে কৃষ্ণা দেবী কে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করা হয়। লক্ষাধিক টাকা খরচ করে অপারেশন করা হয় তার। কিন্তু চিকিৎসা খরচ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেখালে হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তা বাতিল করে দেওয়া হয়। এরপর প্লাস্টিক সার্জারি করার কথা বলে দেওয়া হাসপাতাল থেকে। সেই থেকে এই হাসপাতাল ও হাসপাতালে ঘুরে বেড়ায় পরিবার কিন্তু কোথাও স্বাস্থ্য সাথী কার্ড গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ পরিবারে। মহিলার আঘাতের জায়গায় ড্রেসিং চললেও অপারেশন করাতেই হবে বলে জানিয়ে দেয় চিকিৎসকরা।
বর্তমানে কৃষ্ণা দেবীর ক্ষত জায়গায় পোকা হয়ে গেছে কিন্তু বেসরকারি জায়গায় সেই খরচ বহন করার মত ক্ষমতা নেই পরিবারের। পরিবারের একমাত্র উপার্জনের ভরসা ছিল কৃষ্ণা দেবী। আজ চিকিৎসার অভাবে বিছানায় শয্যাশায়ী তিনি। এই অবস্থায় পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় একটি ক্লাব। কৃষ্ণা হালদারের অবস্থাও সংকটজনক। অবশেষে পরিবারের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রী কাছে আবেদন তিনি যেন পরিবারটিকে সহযোগিতা করে। পরিবারের আয় করত একমাত্র কৃষ্ণা হালদার। আজ সেই বিছানায় শয্যাশায়ী। স্থানীয় বিধায়ক থেকে নেতৃত্ব সবাইকে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানান পরিবার কিন্তু এখনো কোন সুরাহা মেলেনি।
রাতুল ব্যানার্জি