বর্তমানে কুস্তিগীরদের বংশধররাই এই পুজো পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন৷ কিন্তু, সম্প্রতি পুজোর মাঠ নিয়ে সমস্যা শুরু হয়৷ মাঠের মালিক জানিয়ে দেন, তিনি আর সেখানে পুজো করতে দেবেন না৷ আগে ঠিক হয়েছিল, বছরের মধ্যে ১১ মাস মাঠ ব্যবহার করবে মালিকপক্ষ৷ আর কালীপুজোর সময় একমাসের জন্য স্থানীয় ক্লাবকে মাঠ ব্যবহার করতে দেওয়া হবে৷ কিন্তু, এখন আর সেই শর্ত মানতে রাজি নয় মালিকপক্ষ৷ বিষয়টি ইতিমধ্যেই আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে ৷
advertisement
ফলে এবছর রাস্তার একপাশেই পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে৷ ক্লাবের সদস্য প্রদীপ্ত দে বক্সি জানান, আদালতে মামলা ওঠার ফলেই কালী পুজোর জায়গা বদল করতে হচ্ছে তাঁদের৷ তাতে কিছুটা হলেও মন খারাপ সকলের ৷ তবে শেষ পর্যন্ত যে পুজো হচ্ছে, এটাই বড় কথা৷ এ বার এই পুজোর ৫৪ তম বর্ষ ৷ তবে গত বারের মতো এবারও কোভিড বিধি মেনেই পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে বলে দাবি উদ্যোক্তাদের৷
গত কয়েক বছরের মতো এবারও প্রতিমা নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছেন শিল্পী পিন্টু মিশ্র ৷ তিনি বলেন, ‘‘অন্যান্য প্রতিমার তুলনায় মোটা কালী তৈরি করা কঠিন, সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল৷ আগে খোলা মাঠে বড় জায়গায় প্রতিমা তৈরি হত৷ তাতেই দু’মাস লেগে যেত৷ আর এবার রাস্তার এক পাশে কাজ করতে হচ্ছে৷ ফলে খুব সমস্যা হচ্ছে ৷ তবে স্থান পরিবর্তনের পরেও পুজো উদ্যোক্তাদের আশা, ভাটা পড়বে না দর্শনার্থীদের প্রতিমা দর্শন।