করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে যখন লাফিয়ে লাফিয়ে , সাথে দেখা দিয়েছে অক্সিজেন সংকট। মিলছেনা বেড। চরম হয়রানির সম্মুখীন হতে হচ্ছে রোগীর পরিবারের লোকজনদের । এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে চূড়ান্ত অবহেলার কারণে কার্যত ভূতুড়ে ট্রেন এ পরিণত হয়েছে ওই আট বগির কোভিড-১৯ আইসোলেশন ট্রেন । স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ , বামনগাছি এলাকায় বড়ো কোনো সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতাল কিম্বা নার্সিংহোম নেই। এখানকার মানুষকে পঞ্চায়েতের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ওপরে ভরসা করতে হয়। আর না হলে যেতে হয় জেলাসদর বারাসাত হাসপাতালে। কিন্তু করোনাকালে করোনার চিকিৎসার জন্য এই স্পেশাল ট্রেনকে ব্যবহার করলে মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হত না। বামনগাছি মানুষদের ছুটে যেতে হত না বারাসাত, মধ্যমগ্রাম কিংবা কলকাতার বড় বড় হাসপাতাল ও নার্সিংহোম গুলিতে। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের অবহেলায় এই ট্রেনটি অচল হয়ে পড়ে আছে । জেলা ও রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল বামনগাছির বাসিন্দাদের। তাদের অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সমন্বয়ের অভাবে আজ এই পরিণতি।
advertisement
সাধারণ মানুষের অভিযোগ বেসরকারি নার্সিং হোম গুলিতে লক্ষ লক্ষ টাকা বিল হচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগীদের, চিকিৎসার জন্য সর্ব শান্ত হচ্ছে মানুষ, তবুও রোগীকে জীবন্ত ফেরাতে পারছেন না বাড়িতে । পকেট ভরছে বেসরকারি হাসপাতালের মালিক কর্তৃপক্ষের।। অন্যদিকে নার্সিংহোম বলছে বেড নেই তাই পেইড বেডে ভর্তি করতে হবে। আর এই চক্রের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন রোগীর আত্মীয় পরিজন। রাজ্য সরকার ও স্বাস্থ্য দপ্তরের গাফিলতিতে এই কোভিড আইসোলেশন ট্রেনের কোচটি ব্যবহার হয়নি। কিছু জায়গায় সেফ হোম খোলা হয়েছে, কিন্তু তার বাইরে বামনগাছি, দত্তপুকুর এলাকায় কিছুই নেই। ফলে তাদের ছুটে আসতে হচ্ছে বারাসাত, মধ্যমগ্রাম কিংবা কলকাতায়। স্থানীয়দের দাবি, খুব শীঘ্রই স্বাস্থ্য দপ্তর এবং রেল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে পুনরায় এই কোভিড-১৯ আইসোলেশন ট্রেন চালু করতে হবে।
রাতুল ব্যানার্জি