সারা বছর ধরে মৎস্যচাষীদের মাছ চাষের জন্য নানা সরঞ্জাম যেমন মাছ ধরার জাল, মাছের হাড়ি, মাছের খাবার, নেট সহ মাছের চারা দেওয়া হয় সংস্থার পক্ষ থেকে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ৫৭০ জন তপশিলি মৎস্যচাষীদের এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করেছে ICAR CIFA।
এদিন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটার ব্লকের ইছাপুর গ্রাম, ঠাকুরনগর গ্রাম ও রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিলচাতুরিয়া গ্রামের পুরুষ ও মহিলা মিলে মোট ১৫৬ জন মৎস্যচাষীর হাতে এদিন তুলে দেওয়া হল মাছের ভাসমান খাবার।
advertisement
প্রত্যেক চাষীকে ২৫ কেজি করে ভাসমান খাবার দেওয়া হল। পাশাপাশি কিভাবে বিজ্ঞানসম্মত উপায় মাছের চাষ করলে লাভবান হবেন মৎস্য চাষীরা, সে বিষয়ে মূল্যবান পরামর্শ দিলেন উপস্থিত মৎস্য বিজ্ঞানীরা। এদিন এই বিশেষ কর্মকাণ্ডকে সফল করতে উপস্থিত ছিলেন CIFA এর মুখ্য বিজ্ঞানী ডক্টর বৈদ্যনাথ পাল ও মৎস্য বিজ্ঞানী অরবিন্দ দাস।
কিভাবে একজন মৎস্যচাষী বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে ভালোভাবে মাছ চাষ করতে পারবেন সে বিষয়ে বার্তা দিলেন ডক্টর বৈদ্যনাথ পাল। সারাবছর মৎস্যচাষীদের পাশে থেকে তাদের মাছ চাষে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে ICAR CIFA।
কিভাবে উদ্যোগ নিয়েছে সে বিষয়ে জানালেন মৎস্য বিজ্ঞানী ডক্টর অরবিন্দ দাস। CIFAর এই উদ্যোগ একজন মৎস্য চাষীর আয় বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে বলে জানালেন মৎস্যচাষীরা। মাছেদের পুষ্টিযুক্ত ভাসমান খাবার হাতে পেয়ে আপ্লুত তপশিলি মৎস্য চাষীরা। সারা বছর ধরে মাছ চাষের সরঞ্জাম পেয়ে নতুন উদ্যোমে মাছ চাষে আগ্রহ বাড়বে মৎস্যচাষীদের, এমনটাই আশা মৎস্য বিজ্ঞানীদের। আগামীদিনে এভাবেই আরো এগিয়ে আসবে অন্যান্য মৎস্য চাষিরা এমনই আশা মৎস্য বিজ্ঞানীদের।
রাতুল বন্দ্যোপাধ্যায়