করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যে হারে সংক্রমণ বেড়েছিল তাতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিল গোটা দেশ তথা রাজ্যের মানুষ। করোনাকে (coronavirus) আটকাতে বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। তবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকাঠামো এতটাই দুর্বল ছিল দেশ তথা রাজ্যের সেখানে দাঁড়িয়ে মৃত্যুর মিছিলে পরিণত হয়েছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। অক্সিজেনের অভাব, বেডের অভাব, যার কারণে বহু মানুষের পরিবার-পরিজনরা মৃত্যুর মুখ ঢলে পড়েছিলেন।
advertisement
দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা (coronavirus) সংক্রমণ আটকাতে যা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে তা কার্যকর হয়েছিল। যে হারে সংক্রমণ বেড়েছিল তাতে অনেকটাই সংক্রমনের রাস টেনেছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলাকে পেছনে ফেলে উত্তর ২৪ পরগনায়-ই ছিল শীর্ষস্থানে। তবে রবিবারের থেকে তুলনায় অনেকটাই বাড়ল করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় সুস্থ হয়েছে ১০৪ জন। মৃত্যুর সংখ্যা তিন। যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে আশঙ্কা সেই তৃতীয় ঢেউয়ের।
উৎসবের মরসুমে যথেষ্ট তৎপর ছিল প্রশাসন। সে কারণে তুলনায় অনেকটাই কম সংক্রমিত হয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে এই উৎসবের মরসুমে যে হারে মানুষ দিশাহীন হয়ে মাস্ক ব্যবহার না করে উৎসবে মেতেছিলেন তার জন্য এই পরিণতি বলে দাবি চিকিৎসক মহলের। তবে কি দেশ তথা রাজ্যে আছে পড়ল করোনার তৃতীয় ঢেউ? এমনই প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।
চিকিৎসকদের মতে এখন পর্যন্ত তৃতীয় ঝড়ের আশঙ্কা না করলেও পরে যে তা হবে না এমনটা নয়। ইতিমধ্যেই তৃতীয় ঢেউকে ( Third wave of corona) আটকাতে টিকাকরণকে(vaccine) জোর দিয়েছে সরকার। চিকিৎসকদের মতে সংক্রমণ আটকাতে একমাত্র উপায় টিকাকরণ। তবে যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে আশঙ্কায় রয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে চিকিৎসক মহল। তৃতীয় ঢেউয়ে আশঙ্কা শিশুদের সংক্রমনের বেশি। চিকিৎসকদের মতে করোনা থেকে বাঁচতে হলে মেনে চলতে হবে করোনা বিধি। মাস্ক স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক। এখন দেখার এত কিছু মেনে নেওয়ার পরেও কি আছড়ে পড়বে করোনার তৃতীয় ঢেউ? তারই আশঙ্কায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য থেকে গোটা দেশ।
রাতুল বন্দ্যোপাধ্যায়